হবিগঞ্জ: হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার সুরমা চা বাগানের কাছে সড়কে গাছ ফেলে সিএনজি চালিত তিন/চারটি অটোরিকশায় ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এসময় অন্তত পাঁচ যাত্রীকে জখম করে দুই লক্ষাধিক টাকার মালপত্র লুটে নিয়েছে ডাকাতরা।
বৃহস্পতিবার (১ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে চুনারুঘাট-মাধবপুর আঞ্চলিক সড়কে এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে।
আহতদের মধ্যে মাধবপুর উপজেলার আউলিয়াবাদ গ্রামের নুর উদ্দিনের ছেলে অটোরিকশা যাত্রী মইনুল হোসেনকে (৩০) সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া একই উপজেলার সুলতানপুর গ্রামের সিরাজ মিয়ার ছেলে মালেক মিয়াকে (৩২) চুনারুঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও চুনারুঘাট উপজেলার মিরাশী তারাসই গ্রামের মহরম আলীর ছেলে অটোরিকশা চালক বাচ্চু মিয়াকে (২৬) হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
আহত বাকি দু’জনের নাম জানা যায়নি। তাদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
আহত বাচ্চু মিয়া বাংলানিউজকে জানান, সন্ধ্যায় তিনি মাধবপুর থেকে পাঁচ যাত্রী নিয়ে চুনারুঘাটে ফিরছিলেন। পথে সুরমা চা বাগানের ব্রিজের কাছে এলে ১০/১৫ জন ডাকাত রাস্তায় গাছ ফেলে তারসহ কয়েকটি অটোরিকশায় ডাকাতি করে। এসময় তারা তাকেসহ অন্তত পাঁচজনকে কুপিয়ে জখম করে এবং চালক ও যাত্রীদের কাছে থাকা নগদ টাকা, স্বর্ণালঙ্কার ও মোবাইল ফোন লুটে নেয়।
একপর্যায়ে চালক ও যাত্রীদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে ডাকাতরা পালিয়ে যায়।
তিনি আরো জানান, ডাকাতদের হামলায় আহতদের মধ্যে মইনুলের অবস্থা গুরুতর। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে চিকিৎসকের পরামর্শে তাকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
খবর পেয়ে পুলিশ সুপার জয়দেব কুমার ভদ্র, চুনারুঘাট ও মাধবপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
এদিকে, এ ব্যাপারে সহকারী পুলিশ সুপার (দক্ষিণ) সাজ্জাদ ইবনে রায়হান বাংলানিউজকে জানান, ডাকাতরা গাছ ফেলে গণডাকাতির অপচেষ্টা করলেও পুলিশের তাৎক্ষণিক পদক্ষেপে তারা পালিয়ে যায়।
তিনি আরও জানান, সড়কটি নির্জন এলাকায় হওয়ায় ডাকাতির আশঙ্কা থাকে। এজন্য সাতছড়ি এলাকায় একটি পুলিশ ক্যাম্প স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৭১২ ঘণ্টা, অক্টোবর ০২, ২০১৫
এসআই