কক্সবাজার: সমুদ্রের লোনা জলে গা ভাসাতে প্রতিবছর কক্সবাজার ছুটে আসে লাখো পর্যটক। কিন্তু সৈকত এলাকায় কোনো ধরনের চিকিৎসা সেবা কেন্দ্র না থাকায় ভোগান্তি পোহাচ্ছে ভ্রমণ পিপাসুরা।
সমুদ্র সৈকতের লাবনী পয়েন্ট থেকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের দূরত্ব প্রায় দুই কিলোমিটার। অন্যান্য পয়েন্ট থেকে এর দূরত্ব আরো বেশি। আর এ দীর্ঘ দূরত্বের পথ অতিক্রম করেই প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য যেতে হয় পর্যটকদের।
![](files/October2015/October02/M1_778217380.jpg)
সি সেভ লাইফ গার্ডের কক্সবাজার ইনচার্জ রাশেদুল আলম বাংলানিউজকে জানান, প্রায়ই সময় ছোট ছোট বাচ্চারা দৌড়াতে গিয়ে শরীরের নানা স্থানে আঘাত পায়। এছাড়া গোসল করতে গিয়ে পর্যটকরা বিভিন্ন সময় শরীরে আঘাত পায়। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা নিতে দূরের হাসপাতালে যেতে হয়।
সমুদ্র সৈকতে বেড়াতে আসা ফাহমিদা বাংলানিউজকে জানান, স্বামী-সন্তান নিয়ে কক্সবাজার বেড়াতে এসেছেন। তার ছোটো ছেলে দৌড়াতে গিয়ে ব্যথা পেয়েছেন। কিন্তু এখানে প্রাথমিক চিকিৎসা কেন্দ্র না থাকায় তাকে যেতে হবে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে।
![](files/October2015/October02/M2_584464361.jpg)
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শামীম বাংলানিউজকে জানান, প্রতি বছর তিনি সমুদ্র সৈকতে বেড়াতে আসেন। এর মধ্যে গতবার তার এক বন্ধু হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে চিকিৎসা দিতে নানা ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে।
কক্সবাজার বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্য মোশারফ হোসেন দুলাল বাংলানিউজকে জানান, গোসল করতে নেমে পানিতে ভেসে যাওয়া লোকজনকে উদ্ধারের পরে শরীরের অবস্থা খারাপ থাকে। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া এবং হাসপাতালে নিয়ে সহযোগিতা করেন লাইফ গার্ডের সদস্যরা। তবে, এতটুকুই যথেষ্ট নয়। এখানে প্রয়োজন প্রাথমিক চিকিৎসা কেন্দ্র।
![](files/October2015/October02/M3_248968579.jpg)
ইয়াছির লাইফ গার্ডের ইনচার্জ মোস্তাফা কামাল বাংলানিউজকে জানান, ইয়াছির লাইফ গার্ডসহ অন্যান্য লাইফ গার্ডের সদস্যরা সমুদ্র পাড়ে অসুস্থ রোগীদের সহযোগিতা করেন। তারা তাদের তাৎক্ষণিক হাসপাতালে নিতে সহযোগিতা করেন। তারা প্রশিক্ষণ নিয়েছেন সমুদ্রে ভেসে যাওয়া লোকজনকে উদ্ধারের পরে প্রাথমিক চিকিৎসা দিতে। তবে, সঠিক চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে পেশাদার চিকিৎসক দিয়ে চিকিৎসা করানো প্রয়োজন।
কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জহিরুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, সমুদ্র সৈকত পাড়ে মেডিকেল টিম প্রয়োজন। যাতে পর্যটকদের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করা যায়।
![](files/October2015/October02/M4_893784974.jpg)
কক্সবাজার জেলা প্রশাসক (ভারপ্রাপ্ত) অনুপম সাহা বাংলানিউজকে জানান, সমুদ্র সৈকতে পর্যটকদের তাৎক্ষনিক চিকিৎসার কোনো ব্যবস্থা নেই। বর্তমানে পর্যটকদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিচ্ছে লাইফ গার্ডের সদস্যরা। এছাড়া অসুস্থদের দ্রুত হাসপাতালে আনতে রয়েছে অ্যাম্বুলেন্স। তবে, তাৎক্ষণিক চিকিৎসার জন্য ভ্রাম্যমাণ অথবা স্থায়ী চিকিৎসা সেবা কেন্দ্র প্রয়োজন।
এ ব্যাপারে বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির সঙ্গে আলোচনার করে কমিউনিটি স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্র বা মেডিকেল টিমের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান জেলা প্রশাসক।
বাংলাদেশ সময়: ০৯০৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০২, ২০১৫
এমজেড