বগুড়া: বগুড়ার শেরপুর উপজেলার ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কের ধনকুণ্ডি এলাকায় যাত্রীবাহী বাস ও মালবাহী ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে ট্রাকচালক আবুল বাশার (৩০) নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও ১৫ জন আহত হয়েছেন।
নিহত আবুল বাশার ভোলা জেলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার জয়া গ্রামের আব্দুল মোত্তালিবের ছেলে।
বৃহস্পতিবার (১ অক্টোবর) দিনগত রাত আড়াইটার দিকে মহাসড়কের ধনকুণ্ডি এলাকায় হোটেল পেন্টাগনের সামনে একটি ব্রিজের ওপর এ দুর্ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় আহতরা শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
এদিকে ব্রিজের ওপর দুর্ঘটনাকবলিত বাস-ট্রাক আড়াআড়িভাবে পড়ে থাকায় প্রায় ৭ ঘণ্টা ধরে মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ ছিল। শুক্রবার (২ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত একটানা এ অবস্থা চলতে থাকে। এতে করে মহাসড়কের উভয় পাশে অন্তত ১০ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ভয়াবহ যানজটের সৃষ্টি হয়। এ সময় শতশত যানবাহন আটকা পড়ে যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
প্রায় ৫ ঘণ্টা চেষ্টার পর ক্রেন ব্যবহার করে দুর্ঘটনাকবলিত বাস-ট্রাক সরানো গেলে সকাল ৯টা থেকে আটকে পড়া যানবাহনগুলো চলাচল শুরু করে। সকাল সোয়া ৯টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত যানবাহন চলাচল পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি।
শেরপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স’র স্টেশন ম্যানেজার সোহেল রানা বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বগুড়া থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া টিয়া পরিবহনের (ঢাকা মেট্রো ব-১১-৫৮৩৩) একটি যাত্রীবাহী বাস ও বিপরীত দিক থেকে আসা অপর একটি বিস্কুট বোঝাই ট্রাকের (ঢাকা মেট্রো ট-১৬-৩১৪৬) মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই ট্রাকচালকের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় আরও ১৫ জন যাত্রী আহত হন।
তাদের মধ্যে দিনাজপুর জেলার হাকিমপুর উপজেলার হিলি এলাকার আব্দুল মতিনের মেয়ে মোছা রিনা (২০) ও ময়নার (২৫) পরিচয় জানাতে পেরেছেন তিনি। বাকি আহতদের নাম পরিচয় জানাতে পারেননি সোহেল রানা।
পশ্চিমাঞ্চল হাইওয়ে পুলিশের পুলিশ সুপার (এসপি) ইসরাইল হাওলাদার বাংলানিউজকে জানান, দুর্ঘটনাকবলিত বাস-ট্রাক সরাতে হাইওয়ে পুলিশ ঘটনার পর থেকে সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। প্রথমে রেকার পাঠানো হয়েছে। তাতেও কাজ না হওয়ায় ক্রেন পাঠিয়ে ব্রিজের ওপর থেকে বাস-ট্রাক সরিয়ে ফেলা হয়েছে। পরে সকাল থেকে মহাসড়কের যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১০১৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ০২, ২০১৫
এমবিএইচ/আরএম