রাজশাহী: শারদীয় দুর্গোৎসব উদযাপনে রাজশাহীতে এবার ৪শ ২টি মণ্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এর মধ্যে জেলায় ৩শ ৩৫টি ও মহানগর এলাকায় রয়েছে ৬৭টি।
পাল বাড়িতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন প্রতিমা শিল্পীরা। কাদা-মাটি, খড়-কাঠ আর প্রতিমা নিয়েই এখন দিন-রাত কাটছে তাদের। আগামী ১৮ অক্টোবর দেবীর বোধনের মধ্যদিয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের এ মহোৎসব শুরু হতে যাচ্ছে। চলবে ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত।
তাই প্রতিমা ও এর প্রত্যেকটির অনুষঙ্গ তৈরি, নিখুঁতভাবে কাজ ফুটিয়ে তুলতেই সর্বোচ্চ মনোযোগ রাজশাহী মহানগরীর প্রতিমা শিল্পীদের। জানালেন, আলুপট্টির প্রতিমা নির্মাতা কার্তিক চন্দ্র পাল। তিনি বলেন, আষাঢ়ের ২০ তারিখ থেকে তারা প্রতিমা তৈরি শুরু করছেন, কাজ প্রায় শেষ।
এখন কেবল প্রতিমাগুলোর নকশা করা হচ্ছে। আর এক সপ্তার মধ্যেই তৈরি করা দুর্গার প্রতিমাগুলোতে রং লাগিয়ে সুসজ্জিত করা হবে বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সহ-সভাপতি অনিল কুমার সরকার জানান, এবার রাজশাহীতে ৪শ ২টি মণ্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে মহানগর এলাকায় রয়েছে ৬৭টি। যার মধ্যে মহানগরীর বোয়ালিয়ায় ৪৪টি, রাজপাড়ায় ১০টি, শাহ মখদুম এলাকায় ৭টি এবং মতিহারে ৬টি রয়েছে।
![](files/October2015/October02/Rajshahi_ML1_282049492.jpg)
হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি তপন কুমার সেন জানান, আগামী ১৮ অক্টোবর ষষ্টিপূজার মধ্যদিয়ে এবার শারদীয় দুর্গোৎসব শুরু হবে। পরদিন ১৯ অক্টোবর সপ্তমী, ২০ অক্টোবর অষ্টমী, ২১ অক্টোবর নবমী, ২২ অক্টোবর বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনে শেষ হবে পাঁচ দিনের উৎসব।
তাই আসন্ন দুর্গাপূজা সামনে রেখে মহানগরীর মিয়াপাড়ায় ধর্মসভা, গণকপাড়ার বৈষ্ণব সভা, ঘোড়ামারা, শেখেরচক ও হড়গ্রাম এলাকায় প্রতিমা তৈরির কাজ চলছে জোরেশোরে। গতবার সরকারের পক্ষ থেকে মণ্ডপ প্রতি ৫শ কেজি চাল বরাদ্দ ছিলো। এবছর সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানান তিনি।
এদিকে, উৎসাহ উদ্দীপনা ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে শারদীয় দুর্গোৎসব উদযাপনের লক্ষ্যে রাজশাহীতে এরই মধ্যে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ষষ্টিপূজা অর্থাৎ, দেবীর বোধনের আগের দিন থেকে ২২ অক্টোবর প্রতিমা বিসর্জনের রাত পর্যন্ত এ বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা বলবৎ থাকবে।
এজন্য রাজশাহী মহানগর পুলিশ সদর দফতর (আরএমপি) এবং জেলা পুলিশ সুপারের (এসপি) কার্যালয় থেকে এরই মধ্যে থানা পর্যায়ে বিশেষ বার্তা পাঠানো হয়েছে। হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা প্রতিমা ও মণ্ডপ তৈরি থেকে প্রতিমা স্থাপন পর্যন্ত সব কার্যক্রম ও আচার-অনুষ্ঠান যেনো শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে পারেন সে ব্যাপারে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের (ওসি) নজর রাখতে বলা হয়েছে।
রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার সরদার তমিজ উদ্দিন আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, প্রতি বছরের মতো এবারও শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নেওয়া হয়েছে। হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা যেনো শান্তিপূর্ণ পরিবেশে উৎসব উদযাপন করতে পারেন সেজন্য এ ব্যবস্থা।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ০২, ২০১৫
এসএস/এএ