ঢাকা: আব্দুল মান্নান (৫০)। অসুস্থ অবস্থায় তিনি জ্ঞাত হলেও মৃত্যুর পর হয়ে গেছেন অজ্ঞাত।
গত মঙ্গলবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১টার দিকে ঢামেকের নতুন ভবনের ৬০২ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় আব্দুল মান্নানের। বিষক্রিয়ায় তিনি মৃত্যুবরণ করেছেন বলে ডেথ সার্টিফিকেটে জানানো হয়েছে। কিন্তু গোলযোগটা বেধেছে তার মরদেহ হস্তান্তর প্রক্রিয়ায়।
ঢামেক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গত ১৯ সেপ্টেম্বর কে বা কারা আব্দুল মান্নানকে অচেতন অবস্থায় ভর্তি করে। সে সময় ঠিকানায় উল্লেখ করা হয়, তিনি রাজধানীর তেজতুরি বাজারে ১১০/৫ নম্বর বাড়ির বাসিন্দা। কিন্তু তার মৃত্যুর পর ওই ঠিকানায় খোঁজ নিতে গিয়ে পুলিশ আবিষ্কার করেছে অপর এক আব্দুল মান্নানকে। এই আব্দুল মান্নানও মৃত আব্দুল মান্নানের সমবয়সী। জীবিতজন কারওয়ান বাজার এলাকায় হার্ডওয়্যার ব্যবসায় জড়িত।
এ ব্যাপারে তেজগাঁও থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নজরুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, আব্দুল মান্নানের ভর্তি ফাইলে নাম-ঠিকানা দেখে মেডিকেল ক্যাম্প পুলিশ আমাদের খবর দেয়। সে মোতাবেক ওই ঠিকানায় গিয়ে বাড়ির পঞ্চম তলায় দেখি ভাড়াটিয়া আব্দুল মান্নান জীবিত। তার বয়সও ৫০ বছর। খুব সম্ভবত নিহত ওই ব্যক্তিকে যারা ভর্তি করেছেন, তারা ভুল নাম-ঠিকানা দিয়েছেন।
ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মোজাম্মেল হক বলেন, ডেথ সার্টিফিকেট হাতে আসার পর খোঁজখবর শুরু করি আমরা। তেজগাঁও থানায় খবর দেওয়ার পর তাদের দেওয়া তথ্যে দেখছি, আব্দুল মান্নান জীবিত।
নিহত ব্যক্তিকে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা বিষ খাইয়ে বা যেকোনো কারণে বেনামে ঢামেকে ভর্তি করে পালিয়েছে বলেই মনে করছেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।
শেষ পর্যন্ত পরিচয় উদ্ধার না হওয়ায় মৃত্যুর পর অজ্ঞাত হয়ে যাওয়া আব্দুল মান্নানের মরদেহের তাই আপাতত ঠিকানা হয়েছে ঢামেক জরুরি বিভাগের মরচুয়ারিতে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ০২, ২০১৫
এজেডএস/আরএইচ