বরিশাল: অল্পের জন্য বড় ধরনের দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেলেন সুরভী-৯ ও পারাবত-১০ নামে দু’টি লঞ্চের প্রায় ৬ হাজার যাত্রী।
শুক্রবার (২ অক্টোবর) রাত পৌনে ৮টার দিকে কীর্তনখোলা নদীর চরমোনাই এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এসময় লঞ্চে থাকা হাজার হাজার যাত্রী আতঙ্কে প্রাণে বাঁচতে ডাক-চিৎকার শুরু করে।
সুরভী-৯ লঞ্চের যাত্রী বিশিষ্ট লেখক ও কবি আনোয়ার সাদাত বাংলানিউজকে জানান, বরিশাল ঘাট থকে ছেড়ে চরমোনাই পয়েন্ট পার হওয়ার সময় আকস্মিকভাবেই দুটি লঞ্চের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এসময় আতঙ্কিত যাত্রীরা ডাক-চিৎকার শুরু করে। পরে লঞ্চ দু’টি যে যার মতো চালিয়ে গেলে কিছুক্ষণ পরে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
পারাবত-১০ লঞ্চের মাস্টার শামীম আহমেদ বাংলানিউজকে জানান, সুরভী-৯ লঞ্চ তাদের পেছনে ছিলো। কীর্তনখোলা নদীর চরমোনাই এলাকা পৌঁছালে সুরভী-৯ লঞ্চটি বেপরোয়া গতিতে তাদের অতিক্রম করার চেষ্টা চালায়। এসময় পারাবত-১০ লঞ্চের বামপাশে পানি কমছিলো বলে তারা পাশে যেতে পারেননি। এরফলেই হঠাৎ করে দুই লঞ্চের মধ্যে দূরত্ব কমে গিয়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
তিনি জানান, এতে লঞ্চের কেবিনের কয়েকটি টেলিভিশন পড়ে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
সুরভী-৯ লঞ্চের সুপারভাইজার রব মিয়া জানান, কেউ কাউকে ধাক্কা দেয়নি। পাশাপাশি চলাচলের সময় এমনটা ঘটেছে। তবে এতে কোনো ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটেনি।
এদিকে লঞ্চদুটিতে প্রায় ৬ হাজার যাত্রী রয়েছে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে বরিশাল বিআইডব্লিউটির নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের উপ-পরিচালক আবুল বাশার মজুমদার বাংলানিউজকে জানান, লঞ্চ দু’টির ধারণ ক্ষমতা আড়াইহাজারের বেশি হলেও ঈদের সময় এতে যাত্রী কিছুটা বেশি ছিলো।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪২ ঘণ্টা, অক্টোবর ০২, ২০১৫
এসএইচ