ঢাকা, শনিবার, ২৫ মাঘ ১৪৩১, ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

এমডিজি-এসডিজি প্রকল্প গ্রহণের সময় আমাদের উপস্থিতি দেশের জন্য গর্বের

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৪৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ২, ২০১৫
এমডিজি-এসডিজি প্রকল্প গ্রহণের সময় আমাদের উপস্থিতি দেশের জন্য গর্বের ছবি: বাংলানিউজেটোয়েন্টিফোর.কম

ক্লারিজ হোটেল বলরুম, লন্ডন থেকে: চ্যাম্পিয়ন অব দ্যা আর্থ পুরস্কার গ্রহণ শেষে দেশে ফেরার পথে লন্ডনে এসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন ২০০০ সালে মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোল (এমডিজি) ও এবার সাস্টেনেবল ডেভেলপমেন্ট গোল (এসডিজি) প্রকল্প গ্রহণের সময় জাতিসংঘ অধিবেশনে আমাদের উপস্থিতি দেশের জন্য গর্বের।

তিনি বলেন, এমডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করেই নতুন কর্মসূচি এসডিজি ঘোষণায় এবার জাতিসংঘের ৭০তম অধিবেশনে আমি উপস্থিত হয়েছিলাম।



শুক্রবার স্থানীয় সময় বিকেল ৪টায় লন্ডনের ক্লারিজ হোটেল বলরুমে নেতাকর্মীদের সঙ্গে এক সাক্ষাত অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা করেন।

যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সভাপতি সুলতান শরীফের স্বাগত বক্তব্যের মাধ্যমে শুরু হওয়া সাক্ষাত অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ফারুক।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে দর্শক সারিতে উপস্থিত ছিলেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচএম মাহমুদ আলী, হাইকমিশনার আব্দুল হান্নান, ডেপুটি হাইকমিশনার খোন্দকার মোহাম্মদ তালহা, মিনিস্টার প্রেস নাদিম কাদির, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ যুগ্ম সম্পাদক নঈমুদ্দিন রিয়াজ, আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, মারুফ চৌধুরী ও সংগঠনের উপদেষ্টা পরিষদের চেয়ারম্যান শামসুদ্দিন খান ও ইউরোপীয় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ গণি প্রমুখ।

বক্তব্যের আগে দলের বিভিন্ন অঙ্গসংঠনের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দিত করা হয়। বক্তব্য শেষে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র বিজয়ের মহানায়কের একটি কপি প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন প্রামাণ্যচিত্রের পরিচালক মঈনুল হোসেন মুকুল ও স্ক্রিপ্ট রাইটার সাংবাদিক সৈয়দ আনাস পাশা।
 
প্রধানমন্ত্রী তার বক্তৃতায় বলেন, মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোল অর্জন বিশ্বের কাছে বাংলাদেশকে এক নতুন রোল মডেল হিসেবে উপস্থাপন করেছে। চ্যাম্পিয়ন অব দ্যা আর্থ পুরস্কার গ্রহণের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষের মুখে হাসি ফোটানো, দারিদ্র্য থেকে বের করে এনে একটি সুখি সমৃদ্ধশালী দেশ তাদের উপহার দেওয়া ছিলো বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন। আমরা সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথেই হাঁটছি। সুতরাং আমাদের কর্মের স্বীকৃতি হিসেবে যত আন্তর্জাতিক সম্মাননাই আমরা পাই তা সবই বাংলাদেশের জনগণের। চ্যাম্পিয়ন অব দ্যা আর্থ  পুরস্কারও তাই আমি বাংলাদেশের জনগণকে উৎসর্গ করছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটি দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ এখন শুধুই স্বপ্ন নয়, বাস্তবতা। নিম্ন মধ্য আয়ের দেশ হিসেবে বাংলাদেশ এখন স্বীকৃত। উন্নত বাংলাদেশের লক্ষ্য নিয়েই এখন হাঁটছি আমরা। সেই লক্ষ্যে পৌঁছানোও খুব কঠিন কিছু নয়।

বিদ্যুৎ উন্নয়ন, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন, নারীর ক্ষমতায়ন, মাতৃ ও শিশু মৃত্যুর হার কমানোসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে তার সরকারের সফলতা আজ বিশ্ব সম্প্রাদায়ের কাছে প্রশংসিত এমন মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কে প্রশংসা করলো না করলো সেটি বিষয় নয়, আমার দেশের জনগণের মুখে আমি তৃপ্তির হাসি দেখতে চাই, এটিই আমার লক্ষ্য।

দেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে জনগণের ভূয়সী প্রশংসা করে খালেদা জিয়াকে ইঙ্গিত করে শেখ হাসিনা বলেন, জনগণের সুখের হাসি যেখানে একজন রাজনীতিকের জন্য সবচেয়ে বড় পাওয়া, সেখানে বিএনপি নেত্রী আন্দোলনের নামে মানুষ পুড়িয়ে কি তৃপ্তি পেয়েছেন আমি জানিনা। তিনি এ সময় বিএনপি জামায়াত জোট আমল ও সাম্প্রতিক সময়ে ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের বর্ণনা দিয়ে বলেন সব অপরাধেরই বিচার হবে।

তিনি বলেন, আমি বলেছিলাম বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার হবে, হয়েছে। বলেছিলাম যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করবো, হচ্ছে। সুতরাং কোনো অপরাধই বিনা বিচারে যাবেনা। প্রধানমন্ত্রী বলেন ২০০১ সালের নির্বাচনের আগে জাতীয় সম্পদ গ্যাস বিক্রি করতে চাইনি বলেই ক্ষমতায় আসতে পারিনি। বলেছিলাম আমার দেশের জনগণের জন্য ৫০ বছরের রিজার্ভ রেখেই অন্য চিন্তা করতে পারি, তার আগে নয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনগণের স্বার্থের বিনিময়ে আমি কোনো ক্ষমতা চাইনা, সেই ক্ষমতা যতই বড় মাপের হোক।

ব্রিটেন প্রবাসীদের সঙ্গে বঙ্গবন্ধু পরিবারের সম্পর্কের কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, লন্ডনের সঙ্গে আমাদের একটি ইমোশনাল সম্পর্ক রয়েছে। আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার সময় থেকে যে সম্পর্কের শুরু, আওয়ামী লীগ ও আমাদের দুর্দিন দুঃসময়ে সেই সম্পর্ক পর্যায়ক্রমে দৃঢ় থেকে দৃঢ় হয়েছে। এ প্রসঙ্গে তিনি ৭৫ পরবর্তী দুঃসময় ও ১/১১ এর সময়কার কথা উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন, প্রতিটি দুঃসময়েই ব্রিটেন প্রবাসীরা বঙ্গবন্ধু পরিবার ও আওয়ামী লীগের পাশে দাঁড়িয়েছেন।

বাংলাদেশ সময়: ২২৪৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ০২, ২০১৫
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।