ঢাকা, শনিবার, ২৫ মাঘ ১৪৩১, ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

রূপপুর প্রকল্পের কাজ এগিয়ে, যথাসময়ে আসবেন পুতিন

সিনিয়র নিউজরুম এডিটর | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪১ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩, ২০১৫
রূপপুর প্রকল্পের কাজ এগিয়ে, যথাসময়ে আসবেন পুতিন ছবি : বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: সঠিক সময় আর সঠিক বছরেই বাংলাদেশ সফরে আসবেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে শনিবার এমনটাই জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্ডার এ নিকোলাভ।



রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নির্মাণ কাজের অগ্রগতি জানাতে সেখানে উপস্থিত হয়েছিলেন ঐ প্রকল্পের ইনচার্জ মাকসিম ভ্লাদিমির এলভিশচেভ।

এলভিশচেভ জানান, এ প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ সফলভাবে শেষ হয়েছে, এতে নেতিবাচক কোন কিছু পাওয়া যায়নি। এখন রাশিয়ার সরকার এবং আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার অনুমোদিত ডিজাইনে প্লান্টের কাজ এগিয়ে চলছে। আর এ বছরের শেষের দিকে সাধারণ চুক্তি স্বাক্ষর হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

রূপপুর প্লান্টে ভিভিইআর-১২০০ নামের উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে। রাশিয়া, বাংলাদেশ, চীন, ভারত, ইরান, তুরস্ক, আর্জেন্টিনা, আর্মেনিয়া, বেলারুশ, বুলগেরিয়া, চেক প্রজাতন্ত্র, মিশর, ফিনল্যান্ড, জর্ডান, ভিয়েতনাম এবং হাঙ্গেরীসহ বেশ কিছু দেশে একই ধরণের প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে এবং হবে।

ভিভিইআর-১২০০ প্রযুক্তির বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি রিখটার স্কেলে ৯ মাত্রার ভূমিকম্প সহনীয় বলেও তুলে ধরেন এলভিশচেভ। তিনি জানান, এতে রয়েছে প্রয়োজনীয় পানি সংরক্ষণ ও স্বয়ংক্রিয় তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা। যেকোন দুর্ঘটনায় এটি সংক্রিয়ভাবে ৭২ ঘণ্টা নিরাপদ থাকবে। এতে আশেপাশের মানুষ কিংবা কোনটাই ক্ষতিগ্রস্ত হবেনা বলে আশ্বস্ত করেন, পরমানু বিদ্যুৎ বিশেষজ্ঞ এলভিশচেভ।

রেডিয়েশন নিয়ে জনভীতির ব্যাপারে তিনি বলেন, এখানে রেডিয়েশন হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই। জননিরাপত্তা ও পরিবেশকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। ফুকুসিমার বিপর্যয় থেকে শিক্ষা নিয়ে নতুন পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে সে সব সংকট এড়াতে আরও নতুন নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। আর সব দিক বিবেচনা করেই প্লান্ট স্থাপন করতে যাচ্ছি।

এ প্রকল্পের পরবর্তী ধাপে এগুতে জেনারেল কন্ট্রাক্ট স্বাক্ষরিত হওয়া জরুরি। কারণ এ চুক্তি অনুসারেই প্রয়োজনীয় প্রযুক্তিগুলো তৈরি করে এদেশে আনা হবে বলে উল্লেখ করেন মাকসিম। তিনি এও আশাবাদ ব্যক্ত করেন, সবকিছু ঠিক থাকলে ২০২২ সাল থেকে এ প্লান্টে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হবে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪১ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩, ২০১৫
একেএ/এমএমকে

** বাংলাদেশের প্রকৌশলীরা দক্ষতার পরিচয় দিয়েছে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।