নাটোর: নাটোরের গুরুদাসপুরে স্কুলছাত্রী দীপিকা খাতুন দীপা হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় সোহেল রানা (৩০) ও সালমান (২০) নামে দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শনিবার (৩ অক্টোবর) সকালে উপজেলার দক্ষিণ সাহাপুর গ্রাম থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
এদিকে, স্কুলছাত্রী দীপা ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনার প্রতিবাদে দুপুরে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সময় আসামিদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবি জানানো হয়।
পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার রাতে দীপাকে ধর্ষণের পর গলা কেটে হত্যা করে একটি কলা বাগানের মধ্যে ফেলে রেখে যায় দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় শুক্রবার রাতে তার বাবা দুলাল প্রামাণিক বাদী হয়ে গুরুদাসপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলায় বামনকোলা গ্রামের রহিতের ছেলে ও মহসীন আলী কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র স্বপন, তার বন্ধু সজিব, সোহেল রানা, সালমানসহ ছয়জনকে আসামি করা হয়। তাদের মধ্যে সোহেল রানা ও সালমানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
দীপা হত্যা মামলায় পুলিশের পাশাপাশি অধিকতর তদন্তের জন্য র্যাব-৫ এর একটি প্রতিনিধি দল মাঠে নেমেছে। র্যাবের উপ পরিচালক মেজর আব্দুস সালামের নেতৃত্বে দলটি শনিবার বিকেল পর্যন্ত ঘটনাস্থলে অবস্থান করে।
![](files/natore1_324824064.jpg)
র্যাবের ওই কর্মকর্তা জানান, হত্যাকাণ্ডটি লোমহর্ষক, অমানবিক। ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা ও প্রকৃত খুনিদের দ্রুত গ্রেফতার করতে র্যাব মাঠে রয়েছে।
এদিকে, দীপার হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। দুপুর ২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত গুরুদাসপুর-কাছিকাটা সড়কে এসব কর্মসূচি পালিত হয়।
পরে, ওই এলাকার বদরের মোড়ে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- সুকচান মোল্লা, রাশেদ সরকার, বাঁধন শেখ, জামাল হোসেন, সাইফুল হোসেন প্রমুখ। বক্তারা অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতার ও বিচারের মাধ্যমে শাস্তির দাবি জানান।
শনিবার দুপুরে দীপার মরদেহ নিজ বাড়িতে আনা হয়। পরে, মরদেহ দাফন করা হয়েছে।
গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইব্রাহিম হোসেন বাংলানিউজকে জানান, মামলা দায়েরের পর স্বপনের দুই বন্ধু সোহেল রানা ও সালমানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪০ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩, ২০১৫
এমজেড