ঢাকা: ‘ওই দিন সৌদি বাদশার এক ছেলে আর্মি নিয়ে আসলো পাথর মারার জন্য। এ সময় সব হাজিদের আটকে দেওয়া হলো।
পবিত্র হজ পালনে গিয়ে গত ২৪ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সৌদির মিনার বড় জামারাতে শয়তান স্তম্ভে পাথর মারার সময় পদদলিতের ঘটনার এমন বর্ণনা দিলেন গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের এক হাজি। যিনি শুক্রবার (০২ অক্টোবর) রাত পৌনে ১০টার দিকে ফিরতি হজ ফ্লাইটে দেশে আসেন।
কিন্তু লাগেজ না আসায় এখনই তিনি গ্রামে যাচ্ছেন না। বললেন, লাগেজ নিয়েই গ্রামে ফিরবেন তিনি।
![](files/haji1_925019569.jpg)
রাত পৌনে ২টার দিকে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের এক নম্বর টার্মিনালের সামনে তিনিসহ কয়েকজন হাজি ওই দিনের ঘটনার বর্ণনা করেন। আর বিমানবন্দরে অপেক্ষমান স্বজনরা উৎসুক মনে তাদের মুখে ওই দিনের ঘটনা শুনেন।
নাম প্রকাশ না করে ওই হাজি বলেন, এর আগে ২০০১ সালেও হজ করেছি। সৌদি সরকারের কিছু অব্যবস্থাপনার কারণে এবার এমনটা ঘটেছে। বাদশার ছেলে ওই দিন না গেলে এ ঘটনা ঘটতো না।
তিনি বলেন, ওরা মাঝে মধ্যে আমাদের সঙ্গে অনেক খারাপ আচরণও করেছে। তারা অর্থ উপার্জন করবে, কিন্তু ভালো সেবা দেবে না তাতো হতে পারে না।
তার এ কথার প্রতিবাদ জানিয়ে বগুড়ার শিবগঞ্জের আরেক হাজি বলেন, সব কিছু উপর ওয়ালার ইশারায় ঘটে। এখানে ওদের (সৌদি আরব) দোষ দিয়ে লাভ কী। যার কপালে যা থাকে তাই হবে। আর নাইজেরিয়া, সুদান ও মিশরের হাজিরা অনেক লম্বা ও শক্তিশালী। লাখ লাখ মানুষের মধ্যে অনেক সময় এশিয়ার হাজিরা আকারে ছোট হওয়ায় লম্বা হাজিদের ধাক্কায় পড়েন।
![](files/haji2_571033676.jpg)
তবে ফ্লাইট বিড়ম্বনা, লাগেজ না আসা ও সৌদিতে দুর্ঘটনার পরও দেশে ফিরে আসতে পেরে সবাই খুশি। কিন্তু সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় মানুষদের হজে পাঠানোর ব্যবস্থা আরও উন্নত করার কথা বলেন তারা।
বৃহস্পতিবার (০১ অক্টোবর) জেদ্দার বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কনসাল জেনারেল শহীদুল করিমের তথ্য মতে, মিনায় পদদলিতের ঘটনায় এ পর্যন্ত ৪১ জন বাংলাদেশি হাজি নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া এখন পর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছেন ১৪৮ জন। নিখোঁজ হাজিদের ব্যাপারে তিনি বলেন, বিভিন্ন মাধ্যমে পাওয়া তথ্য ও স্বজনদের অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা এই তালিকা প্রস্তুত করেছি। তবে এটি ‘ভেরিফাইড’ নয়, বলেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৩, ২০১৫
ইএস/আরএ/আইএ