নীলফামারী: জিংক সমৃদ্ধ ব্রি ধান-৬২ রোপনের তিন মাসের মাথায় পাকা শুরু হয়। চলতি অক্টোবর মাসের শুরু থেকে কাটা শুরু হয়েছে এ ধান।
কৃষি বিভাগের তত্ত্বাবধানে আরডিআরএস ও হারভেস্ট প্লাস বাংলাদেশের সহযোগিতায় মাঠ পর্যায়ে জিংক সমৃদ্ধ ব্রি ধান-৬২’র সম্প্রসারণ শুরু হয় ২০১৪ সাল থেকে।
নীলফামারী সদর উপজেলার টুপামারী ইউনিয়নের দাউদ গ্রামের চাষি তাহেরা বেগম চলতি বছরের ১৩ জুলাই এক বিঘা জমিতে ২০ দিন বয়সের ব্রি ধান- ৬২'র চারা রোপন করেন। ৩০ সেপ্টেম্বর ৯৯ দিনের মাথায় ধান কাটেন তিনি। এক বিঘায় সাড়ে ১৬ মণ ধান পেয়েছেন তিনি।
কিশোরগঞ্জ উপজেলার মেলাবর গ্রামের তহমিনা বেগম বলেন, স্বল্পমেয়াদী এ ধান কাটার পর আগাম আলু লাগানো যাবে। বিষয়টি তাদের এ ধান চাষে উৎসাহিত করেছে।
আরডিআরএস নীলফামারীর কৃষি কর্মকর্তা দিলীপ কুমার রায় বলেন, জিংক সমৃদ্ধ ব্রি ধান-৬২ মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, বুদ্ধিমত্তার বিকাশ ঘটায়, সংক্রামক ব্যাধিতে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমায়, শিশু ও বয়ঃসন্ধিকালে শারীরিক বৃদ্ধি ও বিকাশ ঘটায় এবং বুদ্ধি বিকাশে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
নীলফামারী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক গোলাম মোহাম্মদ ইদ্রিস জানান, আগাম জাতের ধান হওয়ায় এই ধান কাটার পর আগাম আলু চাষ করা যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ১০০৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ৬, ২০১৫
এমজেড