ঢাকা: রাজধানীর অভিজাত এলাকায় বেদখলে থাকা ২৩টি বাড়ি উদ্ধার করে সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য ৫১৫টি আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এসব বাড়ির অবস্থান গুলশান, ধানমন্ডি ও মোহাম্মদপুরে।
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের গণপূর্ত অধিদফতর সূত্র জানায়, ২৩টি বাড়ি থেকে সর্বমোট ২৩২ দশমিক ৭৭ কাঠা (৩৮৪.৭৪ শতাংশ) জমি উদ্ধার করা হবে। উদ্ধার করা জমিতে সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য ৫১৫টি বহুতল আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মাণ করা হবে।
পরিত্যক্ত জমি উদ্ধার ও ফ্ল্যাট নির্মাণ বাবদ প্রস্তাবিত ব্যয় ধরা হয়েছে ৫০১ কোটি টাকা। ২০১৯ সালের জুন নাগাদ এ প্রকল্প বাস্তবায়ন শেষ হবে।
২৩টি বাড়ি উদ্ধার করে সরকারি কাজে নিয়োজিত এক হাজার ৬৪ পরিবারকে আবাসন সুবিধা দেওয়া হবে। পরিত্যক্ত ২৩টি বাড়ির মধ্যে ২টি বাড়িতে বহুতল ভবনে প্রতিটি ১৮শ’ বর্গফুট আয়তনের ৩৬টি ফ্ল্যাট, ৭টি ভবনে ১৫শ’ বর্গফুট আয়তনের ২৩২টি ফ্ল্যাট ও ১৪টি ভবনে ১২৫০ বর্গফুট আয়তনের ২৪৭টি ফ্ল্যাট নির্মাণ করা হবে।
এ বিষয়ে গণপূর্ত অধিদফতরের পরিচালক(আবাসন) ড. মোহাম্মদ আশরাফুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, ঢাকা শহরের ২৩টি পরিত্যক্ত বাড়ি অবৈধভাবে দখলে রেখে অনেকে বসবাস ও ব্যবসা-বাণিজ্য করে আসছেন। এই বাড়িগুলো উদ্ধার করে সরকারি কর্মকর্তাদের আবাসন সমস্যা দূর করা হবে।
তবে এই বাড়িগুলো উদ্ধারে মামলা সংক্রান্ত নানা সমস্যা আছে জানিয়ে তিনি বলেন, অনেকে ভূয়া কাগজপত্র দিয়ে সরকারি বাড়িগুলো নিজের নামে লিখে নিয়েছে। অচিরেই এসব বাড়ি উদ্ধার করে সরকারি কর্মচারীদের আবাসন সমস্যা নিরসন করা হবে।
গণপূর্ত অধিদফতর থেকে পাওয়া তথ্যে দেখা গেছে, গুলশানের ৩৬ নাম্বার সড়কের CWN(B)-4 নাম্বার বাড়িটি উদ্ধার করা হবে। এই বাড়ির জমির পরিমাণ ৭ দশমিক ৬৩ কাঠা। ৩১ নাম্বার সড়কের CWS(B)-24 নাম্বার বাড়ির জমির পরিমাণ ১২ দশমিক ৬৪ কাঠা।
ধানমন্ডির ৫ নাম্বার পুরাতন সড়কের ৭ নাম্বার বাড়িটিও উদ্ধার করা হবে। এই বাড়ির জমির পরিমাণ ২০ কাঠা। একই সড়কের ৭২ নাম্বার বাড়ির জমির পরিমাণ ২০ কাঠা, ৩৩ নাম্বার বাড়িটির জমির পরিমাণও ২০ কাঠা। ৩ নাম্বার পুরাতন সড়কের ১৪ নাম্বার বাড়ির জমির পরিমাণ ২০ কাঠা।
মোহাম্মদপুর ইকবাল রোডের ৯/১৫ নাম্বার বাড়িটি বেদখল হয়ে আছে। এই বাড়িটির জমির পরিমাণ ৭ দশমিক ৫০ কাঠা। ১০/৫ নাম্বার বাড়ির জমির পরিমাণ ৭ দশমিক ৫০ কাঠা, ৯/১২ নাম্বার বাড়ির জমির পরিমাণ ৭ দশমিক ৫০ কাঠা, ৩/২২ নাম্বার বাড়ির জমির পরিমাণ ১৫ কাঠা, ১০/৬ নাম্বার বাড়ির জমির পরিমাণ ৭ দশমিক ৫০ কাঠা।
উদ্ধার করা হবে মোহাম্মদপুর হুমায়ন রোডের ৩/১০ নাম্বার বাড়ি। এই বাড়ির জমির পরিমাণ ৭ দশমিক ৫০ কাঠা। একই রোডের ১/২১ নাম্বার বাড়িটির জমির পরিমাণ ৭ দশমিক ৫০ কাঠা, ৫/৯ নাম্বার বাড়ির জমির পরিমাণ ৭ দশমিক ৫০ কাঠা, ৫/১১ নাম্বার বাড়ির জমি ৭ দশমিক ৫০ কাঠা, ২/২২ নাম্বার বাড়ির জমির পরিমাণ ৭ দশমিক ৫০ কাঠা।
মোহাম্মদপুর খিলজি রোডের ২১/১০ নাম্বার বাড়িটিও উদ্ধার করা হবে। এই বাড়িটির জমির পরিমাণ ৭ দশমিক ৫০ কাঠা, আওরঙ্গজেব রোডের ৭/২ বাড়ির জমির পরিমাণ ১২ দশমিক ৫০ কাঠা।
মোহাম্মদপুর গজনবী রোডের ৫/৪ নাম্বার বাড়িটি ১২ দশমিক ৫০ কাঠা জমির উপর নির্মিত। শাহজাহান রোডের ১৪/৩৩ নাম্বার বাড়িটি ৭ দশমিক ৫০ কাঠা জমির উপর নির্মিত। আসাদ অ্যাভিনিউ এর ৭/সি নাম্বার বাড়িটি ৭ দশমিক ৫০ কাঠা, ৮/সি নাম্বার বাড়িটি ৭ দশমিক ৫০ কাঠার ওপর নির্মিত।
বাংলাদেশ সময়: ১০৪১ ঘণ্টা, অক্টোবর ৬, ২০১৫
এমআইএস/জেডএম