ঢাকা, শুক্রবার, ২৪ মাঘ ১৪৩১, ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৭ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

পাটমোড়ক নিশ্চিতে সারাদেশে অভিযান

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২২৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ৬, ২০১৫
পাটমোড়ক নিশ্চিতে সারাদেশে অভিযান (ফাইল ফটো)

ঢাকা: ৬ পণ্যে পাটমোড়ক নিশ্চিত করতে সারাদেশে সাঁড়াশি অভিযান চালাবে সরকার। সপ্তাহব্যাপী এ অভিযান শুরু হবে ২৫ অক্টোবর।

 

সড়ক, মহাসড়ক, চাল উৎপাদনকারী এলাকা এবং ঢাকার প্রবেশমুখসহ সারাদেশে এ অভিযান চলবে। ধান, চাল, গম, ভুট্টা, সার ও চিনি- এ ৬টি পণ্যে যারা পাটের মোড়ক দেবেন না, প্রচলিত আইনে শাস্তি পাবেন তারা।

মঙ্গলবার (০৬ অক্টোবর) বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ে একটি বৈঠকে এসব সিদ্ধান্তের কথা জানান প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম।

বৈঠকের এক পর্যায়ে অংশ নেন নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান। তিনি বলেন, বন্দর ও ফেরিঘাটেও এ নির্দেশনা দেওয়া হবে। প্রয়োজনে জরিমানা করা হবে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিদ্যমান আইনের প্রয়োগ ও বাস্তবায়নের লক্ষ্যে স্বরাষ্ট্র, বস্ত্র ও পাট, বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়, পাট অধিদপ্তর, জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও ৠাবের সহায়তায় অভিযান চলবে। আগামী ২৫ অক্টোবর থেকে সপ্তাহব্যাপী সড়ক, মহাসড়ক, চাল উৎপাদনকারী এলাকা এবং ঢাকার প্রবেশমুখসহ একসঙ্গে সমগ্র দেশে সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করা হবে। ’

‘অভিযান পরিচালনাকালে আইন লঙ্ঘনকারীর বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে’- বলেন তিনি।

তিনি জানান, পণ্য সরবরাহ ও বিতরণে কৃত্রিম মোড়কের ব্যবহারে পরিবেশ মারাত্মকভাবে দূষিত হয়। পাটের চাষী ও ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। তাই বাধ্যতামূলকভাবে পাটজাত মোড়ক ব্যবহার নিশ্চিত করতে ‘পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন, ২০১০’ এবং ‘পণ্যেপাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার বিধিমালা, ২০১৩’ প্রণীত হয়েছে।

‘এ আইন ও বিধিমালার প্রয়োগ ও বাস্তবায়ন সম্পর্কে ইতোমধ্যে ব্যাপক প্রচার প্রচারণার মাধ্যমে সর্বসাধারণকে জানানো হয়েছে। আইন অনুসারে নির্ধারিত ৬টি পণ্যের (ধান, চাল, গম, ভুট্টা, সার ও চিনি) মোড়কে পাটের ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে’- বলেন তিনি।

এ ৬ পণ্যের মোড়কে পাটমোড়ক ব্যবহার না হলে সেগুলো পরিবহন না করতে পরিবহন মালিক ও শ্রমিক সংগঠনগুলোর প্রতিও আহবান জানানো হয় বৈঠকে। এছাড়া পরিবেশ মন্ত্রণালয়ও বিদ্যমান আইন অনুসারে যেন কঠোর হয়, সে আহবান জানানো হয়।

প্রতিমন্ত্রী জানান, সংশ্লিষ্টরা ব্যাংক ঋণ নিতে এলে যেন নির্দেশনা মানার বাধ্যবাধকতা দিয়ে দেওয়া হয়, সে মর্মে ব্যাংকগুলোতে নির্দেশনা পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া পাটের কী কী পণ্য উৎপাদন সম্ভব এবং বিদেশে রপ্তানীযোগ্য, সে বিষয়গুলো নিয়ে পর্যালোচনা হচ্ছে বলে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা সভাকে অবহিত করেন।

ভারতে পাটখাতে যে সঙ্কট শুরু হয়েছে ও তার যে প্রভাব দেশের পাটখাতে পড়েছে, সেটি কাটাতে এ অভিযান ভূমিকা রাখবে বলে আশা করছেন তারা।

বৈঠকে মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ উদ্দিন আহম্মদ চৌধুরীসহ অভিযান সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মকর্তা, পাট ও পাটজাত পণ্যের স্টেকহোল্ডার, পরিবহন মালিক সংগঠনের নেতারাসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
 
বাংলাদেশ সময়: ১২২৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৬, ২০১৫/ আপডেট: ১৪০২ ঘণ্টা,
এসকেএস/বিএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।