সিলেট: শিশু সামিউল আলম রাজন হত্যা মামলায় সিলেটে তৃতীয় দিনের মতো সাক্ষ্যগ্রহণ চলছে।
বুধবার (৭ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় সিলেট মহানগর দায়রা জজ আকবর হোসেন মৃধার আদালতে কারাগারে থাকা ১০ আসামিকে হাজির করা হয়।
তৃতীয় দিনে সাক্ষ্য দেবেন স্থানীয় বাদেয়ালী গ্রামের বাসিন্দা ইশতিয়াক আহমদ রায়হান, নিজাম উদ্দিন, অনন্তপুর গ্রামের আব্দুজ জাহির মেম্বর ও শেখপাড়ার বাসিন্দা পংকী মিয়া।
মহানগর দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পিপি মফুর আলী বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে ১ অক্টোবর এই আদালতে রাজনের বাবা শেখ আজিজুর রহমান ও জালালাবাদ থানার বরখাস্ত এসআই আমিনুল ইসলামের সাক্ষ্যগ্রহণের মধ্যদিয়ে বহুল আলোচিত এ মামলার বিচারকার্য শুরু হয়।
এছাড়া ৪ অক্টোবর দ্বিতীয় দিনের মতো সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। ওই দিন রাজনের মা লুবনা বেগমসহ চারজন সাক্ষী আদালতে তাদের সাক্ষ্য দেন।
আদালত সূত্র জানায়, আগামী ৮, ১১, ১২, ১৩, ১৪ ও ১৫ অক্টোবরও সাক্ষ্য নেওয়া হবে। মামলার মোট সাক্ষী ৩৮ জন।
গত ৮ জুলাই ভোরে ‘চোর’ সন্দেহে শিশু রাজনকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। নির্যাতনের ২৮ মিনিটের ভিডিওচিত্র ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দিলে দেশে-বিদেশে তোলপাড় সৃষ্টি হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের ইন্সপেক্টর সুরঞ্জিত তালুকদার গত ১৬ আগস্ট ১৩ জনের বিরুদ্ধে এ হত্যা মামলার চার্জশিট দাখিল করেন।
পরে ২২ সেপ্টেম্বর আদালতের বিচারক চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলায় সৌদি আরবে আটক কামরুলসহ ১৩ আসামির বিরুদ্ধে ৩০২/২০১/৩৪ ধারায় চার্জ গঠন করেন।
এদিন আদালতের বিচারক মামলার বিচারকাজ দ্রুত সম্পন্নে ১, ৪, ৭, ৮, ১১, ১২, ১৩, ১৪ ও ১৫ অক্টোবর সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করেন।
এ মামলার অভিযুক্তরা হলেন- সিলেট সদর উপজেলার কুমারগাঁও শেখপাড়ার মৃত আব্দুল মালেকের ছেলে সৌদি আরবে আটক কামরুল ইসলাম, তার সহোদর মুহিত আলম ওরফে মুহিত আলম, আলী হায়দার ওরফে আলী ও শামীম আলম, দিরাইয়ের বাসিন্দা পাভেল ইসলাম, চৌকিদার ময়না মিয়া ওরফে বড় ময়না, জালালাবাদ থানার টুকেরবাজার ইউনিয়নের পূর্ব জাঙ্গাইল গ্রামের মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিনের পুত্র ভিডিওচিত্র ধারণকারী নূর আহমদ ওরফে নুর মিয়া, দুলাল আহমদ, আয়াজ আলী, তাজ উদ্দিন বাদল, ফিরোজ মিয়া, আছমত আলী ওরফে আছমত উল্ল্যাহ ও রুহুল আমিন ওরফে রুহেল।
এদের মধ্যে সৌদি আরবে আটক আছেন কামরুল ইসলাম ও শামীম আলম। পাভেল ইসলামকে অভিযোগপত্র ও অভিযোগ গঠনে পলাতক দেখানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৭, ২০১৫
এএএন/এএ