ঢাকা: হাতে হাতে রং-তুলি। তাতেই ক্যানভাস জুড়ে ফুটে উঠছে সবুজ জমিন, নীল আকাশ, গ্রামের মেঠোপথ, আবহমান বাংলার ঘরবাড়ি।
৬শ’র বেশি শিশুর মনের বিচিত্র ভাবনা রং-তুলিতে চিত্রিত করতে এ আয়োজন শিশু-কিশোরদের সংগঠন কেন্দ্রীয় খেলাঘর আসরের।
বিশ্ব শিশুদিবস উপলক্ষে শুক্রবার (৯ অক্টোবর) বেলা ১১টায় শিল্পকলা একাডেমির চিত্রশালা অঙ্গনে শুরু হয় এ চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা।
অনুষ্ঠানের শুরুতে বক্তব্যে দেশের খ্যাতিমান শিল্পী সমরজিৎ রায় চৌধুরী বলেন, ছবি এঁকে শিশুর মন পরিস্ফুট হয়। তার পরিকল্পনাগুলো সে ছবিতে সাজায়। কোথায় আকাশ হবে, কোথায় পানি হবে, কোথায় হবে নদী- ছবিতে শিশুরা ফুটিয়ে তোলে। এভাবে সুন্দর নাগরিক জীবনের শিক্ষা লাভ করে শিশুরা।
চিত্রশালা প্লাজায় যেন ঠিক তাই দেখা গেলো। শিশুরা আঁকছে নদী, গ্রামের পাশে বয়ে চলা নদীতে পাল তোলা নৌকা।
কেউবা এঁকেছে মুক্তিযুদ্ধের মুষ্ঠিবদ্ধ একতার ছবি, যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে দেশ মাতৃকার স্বাধীনতা সংগ্রাম।
পদ্মা, মেঘনা, যমুনা ও ব্রহ্মপুত্র- এই চার বিভাগে আয়োজন করা হয় এ চিত্রাংকন প্রতিযোগিতার।
চিত্রাংকনের মধ্যভাগে এসে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, শিশুদের এই সুন্দর জগৎ ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের পরিচয় বহন করছে। কেন দেখতে হয় শিশুদের মাছির মতো, পাখির মতো নির্মমভাবে নির্যাতন ও হত্যা করা হচ্ছে। এরকম আর একটি ঘটনাও যেন না হয়।
মন্ত্রী বলেন, এই শিশুদের মধ্য থেকেই বেরিয়ে আসবে আগামীর শাহাবুদ্দিন আর জয়নুল আবেদিনের মতো বড় বড় শিল্পী।
চিত্রাংকন শুরুর আগে দেওয়া বক্তৃতায় খেলাঘর কেন্দ্রীয় আসরের সভাপতিমণ্ডলীর চেয়ারম্যান অধ্যাপক পান্না কায়সার বলেন, নির্মল আলোকিত সুন্দর বাংলাদেশ গঠনে শিশুদের রং-তুলির আরও প্রসার ঘটাতে হবে।
রং-তুলি নিয়ে তারা তাদের স্বপ্নের বাংলাদেশ এঁকে তুলবে। আর বড় হয়ে সেই বাংলাদেশকে তারা আরও এগিয়ে নেবে- বলেন পান্না কায়সার।
শুরুতে আরও বক্তব্য রাখেন, চিত্রশিল্পী মাসুক হেলাল, কিরিটি রঞ্জন বিশ্বাস, খেলঘরের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য নুরী রহমান সেলিম।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, খেলাঘর কেন্দ্রীয় আসরের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুল মতিন ভূইয়া, অশোকেশ রায়, হান্নান চৌধুরী, কেন্দ্রীয় সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য সাহাবুল ইসলাম বাবু, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মনির হোসেন, শাহনাজ পারভিন শিখা, আদিল, সামিনা, তাপস, নয়ন প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪০ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৯, ২০১৫
এসএ/এএ