ঢাকা: রাজধানীর কারওয়ানবাজারের ৪টি মৎস্য আড়তে ভ্রাম্যমাণ আদালতের সহায়তায় র্যাব অভিযান চালিয়ে জেলি মেশানো চিংড়ি মাছ এবং আফ্রিকান মাগুর বিক্রি ও মজুদের অপরাধে আট মাছ ব্যবসায়ীকে কারাদণ্ড দিয়েছে।
শুক্রবার (০৯ অক্টোবর) দুপুরে বাংলানিউজকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন র্যাব-২’র উপ-অধিনায়ক মেজর সৈয়দ সালাউদ্দিন।
![](files/October2015/October09/Fishe_Ml1_550000990.jpg)
বিক্রেতাদের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হেলাল উদ্দিন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯’র ৪২ ধারা মোতাবেক উপেন মল্লিক (৩৫), আবদুর রহিম (৩৫), সাইফুল (২৮), অসীম হালদারকে (৩০) দুই মাস করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এছাড়া একই আইনে মাছ ব্যবসায়ী মোহাম্মদ জিয়া (২৮) এবং মোহাম্মদ ইমদাদুল (২৪) নামে আরও দুইজনকে ১ মাস করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
দ্বিতীয় ধাপে, মৎস্য রক্ষা ও সংরক্ষণ আইন ১৯৫০’র ৩ ধারা লঙ্ঘন আইন অনুযায়ী বিক্রয় নিষিদ্ধ আফ্রিকান মাগুর মাছ বিক্রয়ের অপরাধে নটো গোপাল (৩০) এবং মোহাম্মদ সানাউল্লাহ (২৪) নামে দুইজনকে ১ বছরের জেল দেওয়া হয়েছে।
র্যাব-২’র উপ-অধিনায়ক মেজর সৈয়দ সালাউদ্দিন বাংলানিউজকে আরও জানান, কারওয়ানবাজার এলাকার মোট ৪টি মৎস্য আড়তে অভিযান চালানো হয়েছে। অভিযান পরিচালনা করেন র্যাব-২’র নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হেলাল উদ্দিন। এতে নেতৃত্ব দেন র্যাব-২’র উপ-পরিচালক দিদারুল আলম এবং সহযোগিতা করেন মৎস্য অধিদফতরের কর্মকর্তা নাজিম উদ্দিন আহমেদ।
![](files/October2015/October09/Fishe_ML2_783060176.jpg)
জানা যায়, বাজারের সোনার বাংলা মৎস্য আড়ত ও সাতক্ষীরা মৎস্য আড়তে অভিযান চালানো হয় শুরুতে। এ সময় এই দুই আড়ত থেকে ৬শ’ কেজি ভেজাল গলদা চিংড়ি মাছ জব্দ করাসহ ৬ মাছ ব্যবসায়ীকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পরে মুক্তিযোদ্ধা মৎস্য আড়তসহ আরও একটি আড়তে অভিযান পরিচালনা করা হয়। সেখানে আরও দুই মাছ ব্যবসায়ীকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পাশাপাশি ৭শ’ কেজি আফ্রিকান মাগুরও জব্দ করা হয়।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে র্যাব-২ জানায়, দেশের সমুদ্র তীরবর্তী অঞ্চল চাঁদপুর, সাতক্ষীরা, মুন্সীগঞ্জ, খুলনা ও বরিশাল এলাকা থেকে এ মাছ সংগ্রহ করেন তারা। পরে বেশি মুনাফা লাভের আশায় মাছের ওজন বৃদ্ধির জন্য জেলি, সাদা লোহা, সাগু ও পানিসহ বিভিন্ন অপদ্রব্য ইঞ্জেকশন দিয়ে পুশ করে। ফলে বেড়ে যায় চিংড়ি মাছের ওজন। এতে করে প্রতারিত হন সাধারণ ক্রেতারা। আফ্রিকান মাগুর পানিতে থাকা অন্যান্য মাছ খেয়ে ফেলে বলে সরকার এই মাছ উৎপাদন এবং ক্রয়-বিক্রয় নিষিদ্ধ করেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৯, ২০১৫
এনএইচএফ/আইএ