ঢাকা, শুক্রবার, ২৩ মাঘ ১৪৩১, ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৭ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

পথে পথে বাড়ে মরিচের ঝাল

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৫৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০১৫
পথে পথে বাড়ে মরিচের ঝাল ছবি: দীপু / বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: ঈশ্বরদীতে ১২৫ টাকা, আড়তে ১৪০ টাকা, ঢাকার গ্রাহক কিনছেন প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ২৪০ টাকায়।

এভাবে খুচরা বাজারে কেনা দামের চেয়ে গ্রাহক পর্যায়ে দ্বিগুণেরও বেশি দরে বিক্রি হয় কাঁচা মরিচ।

বিভিন্ন হাত ঘুরে বাড়তি খরচের বোঝা চাপে গ্রাহকের ঘাড়ে।

শুক্রবার (১০ অক্টোবর) দিনগত মধ্যরাতে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর আড়ৎদার ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে এমনটাই জানা গেছে।

যাত্রাবাড়ী বাজারে পাইকারি বিক্রেতা মোতালেব ঈশ্বরদী থেকে মরিচ কিনে এনেছেন প্রতিকেজি ১২৫ টাকা দরে। পাইকারি প্রতিকেজি মরিচ বিক্রি করছেন ১৪০ টাকা।

ঢাকায় নিয়ে আসতে পরিবহন বাবদ কেজিপ্রতি ৮ টাকা খরচ পড়ে জানিয়ে মোতালেব বলেন, শ্রমিক ও বস্তা খরচ ছাড়াও প্রতি গাঁটে (বস্তায়) ঘাটতি পড়ে ২/৩ কেজি। এছাড়া আড়তের ভাড়া ৩০০ টাকা। এজন্য বিক্রি করছেন ১৪০ টাকায়।

এই দামে বিক্রি করা মরিচ খুচরা বাজারে গ্রাহকের কাছে ২০০ টাকার উপরে বিক্রি হবে বলে জানান মোতালেব। খুচরা বাজারের বিক্রেতাদের ঘাটতি ছাড়াও দোকান এবং অন্যান্য খরচে মরিচের দাম গ্রাহক পর্যায়ে বেড়ে যায় বলে দাবি তাদের।  

কিন্তু ঘাটতি ও অন্যান্য খরচের তুলনায় আরও বেশি, কেনা দামের দ্বিগুণ দরে বিক্রি করেন খুচরা বাজারের সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা। শুক্রবার রাজধানীর মালিবাগ ও মুগদা বাজারে কাঁচা মরিচের কেজি ছিল ২৪০ টাকা। সিন্ডিকেটের এই কারসাজির কারণে বাড়তি খরচের পুরোটাই মেটাতে হয় গ্রাহককে।

সব্জির সরবরাহের সঙ্গে বাড়ছে দাম
ঈদের পর শাক-সব্জির সরবরাহ বেড়েছে রাজধানীর আড়তে। এর সঙ্গে সঙ্গে দামও বেড়েছে কেজি প্রতি ৫-১০ টাকা পর্যন্ত।

শুক্রবার মধ্যরাতে সরেজমিনে যাত্রাবাড়ী কাঁচাবাজার আড়তে ব্যবসায়ী এবং আড়তদাররা জানান, কোরবানির মাংস থাকায় গত কয়েক দিনে সব্জির চাহিদাও ছিল না। এছাড়া ঈদের পর গত কয়েক দিনে রাজধানীতে মানুষ প্রায় সবাই ফিরেছে। এখন চাহিদা বাড়ছে, সরবরাহ বাড়ছে। সেই সঙ্গে দামও বেড়েছে।

আড়তে কাঁচা মরিচের কেজি ১৪০ টাকা ছাড়াও পটল ৪০-৫০ টাকা, শশা ২৫-৩০ টাকা, বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়।

আড়তদাররা জানান, গত কয়েক দিনের তুলনায় শাক-সব্জির চাহিদার সঙ্গে সরবরাহ এবং দামও বেড়েছে। এছাড়াও লাল শাখ, লাউ শাখ এবং অন্যান্য সব্জির সরবরাহ বাড়তে শুরু করেছে।

ঈদের কারণে গত কয়েকদিন এ কাঁচাবাজারে বেচাবিক্রি কম থাকলেও শুক্রবার রাত থেকে তা বেড়েছে বলে জানান আড়তদার ইউসুফ।

বাংলাদেশ সময়: ০৭৫৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০১৫
এমআইএইচ/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।