ঢাকা, শুক্রবার, ২৩ মাঘ ১৪৩১, ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৭ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

রাতের আঁধারে উধাও হচ্ছে সড়কের গাছ

রফিকুল আলম, উপজেলা করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮২২ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০১৫
রাতের আঁধারে উধাও হচ্ছে সড়কের গাছ ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ধুনট (বগুড়া): বগুড়ার ধুনট উপজেলায় আঞ্চলিক সড়কের মরে যাওয়া গাছগুলোর কোনো হদিস মিলছে না। প্রতি রাতেই সড়ক থেকে উধাও হয়ে যাচ্ছে মরে যাওয়া গাছ।



অভিযোগ রয়েছে, সড়কের পাশে মরে যাওয়া মূল্যবান গাছগুলো রাতের অন্ধকারে কেটে নিয়ে যাচ্ছে একদল সংঘবদ্ধ দুর্বৃত্ত।

ধুনট উপজেলার হুকুম আলী বাসস্ট্যান্ড থেকে মথুরাপুর বাজার পর্যন্ত আঞ্চলিক পাকা সড়কে এ ঘটনা এখন নিত্যরাতের।

আঞ্চলিক পাকা সড়কের দুই ধারে সামাজিক বনায়ন কর্মসূচির আওতায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) এসব গাছ রোপণ করেছিল। এসব গাছের বেশিরভাই বেশ বড় আকার ধারণ করেছে। মারা গেছে শতাধিক শিশু প্রজাতির গাছ। কিছু কিছু শিশু গাছের পাতা ও ডালপালা শুকিয়ে মরার উপক্রম হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৮ অক্টোবর) সরেজমিনে দেখা যায়, ধুনট-শেরপুর সড়কের হুকুম আলী বাসস্ট্যান্ড থেকে মথুরাপুর বাজার পর্যন্ত  সাড়ে ১০ কিলোমিটার আঞ্চলিক সড়কের দুই পাশে সারিবদ্ধভাবে মেহগনি, আকাশমণি, শিশু গাছসহ বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় কয়েক হাজার গাছ রয়েছে।

এসব গাছের মধ্যে দুই পাশে বড় আকারের শতাধিক শিশু গাছ মরে গেছে। অনেক শিশু গাছের পাতা ঝরে মরার উপক্রম হয়েছে। মরে যাওয়া এসব গাছ গত কয়েক মাস ধরে রাতের আঁধারে কেটে নিয়ে যাচ্ছে একটি চক্র।

স্থানীয় মথুরাপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান ফিরোজ বাংলানিউজকে জানান, গাছগুলো মরে যাচ্ছে এটা খুবই দুঃখের বিষয়। তবে মরে যাওয়া গাছগুলো কেটে নিয়ে এলজিইডি নতুন করে গাছ রোপণ করলে ভালো হতো। তাহলে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা হতো।

তিনি অভিযোগ করেন, এ বিষয়ে এলজিইডি কর্তৃপক্ষ কোনো কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়ায় দিন দিন মরে যাওয়া গাছের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার মরে ওয়া গাছগুলো দুর্বৃত্তরা কেটে নিয়ে যাচ্ছে।

যোগাযোগ করা হলে এলজিইডির ধুনট উপজেলা প্রকৌশলী সফিকুল ইসলাম বলেন, এই সড়কটি এলজিইডির অর্থায়নে পাকা করা হয়েছে। কিন্ত সড়কের দুই পাশে এই গাছ কে বা কারা রোপণ করেছে তা আমার জানা নেই।

এছাড়া গাছ মরে যাওয়ার বিষয়টিও জানি না। তবে খোঁজ-খবর নিয়ে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।

ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হাফিজুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, এলজিইডির ধুনট উপজেলা প্রকৌশলীকে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বলা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ০৮২৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০১৫ 
এসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।