ঢাকা: রাজধানীর মগবাজার এলাকার একটি বাড়িতে সন্ধ্যায় প্রাইভেট টিউটরের কাছে পড়তে বসছে স্কুল পড়ুয়া মেঘদাদ ও আকাশ। কিন্তু হঠাৎ করেই বিদ্যুৎ চলে গেল।
এরই মাঝে চলে এলো বিদ্যুৎ। ফের মন দিয়ে শিক্ষকের কাছে পড়তে বসলো দুই ভাই। শুধু মেঘদাদ আর আকাশই নয়, রাজধানীতে আগের তুলনায় বর্তমানে লোড শেডিং কমে যাওয়ায় বেশ স্বস্তিতে আছেন রাজধানীবাসী।
এলাকাবাসী জানান, রাজধানীতে বর্তমানে লোড শেডিং আগের তুলনায় বেশ কমেছে। আগে দিনে কয়েকবার বিদ্যুৎ চলে যেতো। অনেকক্ষণ পর এলেও কোনো স্বস্তি ছিল না।
তবে এখন আর আগের মতো বিদ্যুৎ যায়ও না, গেলে খুব বেশিক্ষণ থাকেও না।
মগবাজার এলাকার তাবারুল ইসলাম জানান, আগে সন্ধ্যার দিকে পড়তে বসলে কিংবা রাতে কারেন্ট চলে যেতো। প্রায় দুই ঘণ্টা-তিনঘণ্টা পর আসতো। কিছুক্ষণ পর আবারও চলে যেতো। এতে ছেলে-মেয়েদের পড়াশোনাসহ বিভিন্ন ঝামেলায় পড়তে হতো আমাদের। তবে এখন সে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে না।
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা জানান, বিদ্যুৎ না থাকার কারণে বেশির ভাগ ফ্ল্যাটেই পানি থাকতো না। ফলে রান্না-বান্না, গোসল থেকে শুরু করে দৈনন্দিন কাজে ভোগান্তির অন্ত ছিলনা বাসিন্দাদের।
সেন্ট্রাল রোডের বাসিন্দা রওশন আরা বাংলানিউজকে বলেন, ‘বিদ্যুৎ না থাকায় লাইন থেকে পানি উঠানো যেত না। ফলে ভাড়াটিয়ার অভিযোগ শুনতে হতো প্রায়ই। তবে এ সমস্যা এখন নেই বললেই চলে। ’
রামপুরা ওয়াপদা রোডের মুদি দোকানি শাহজাহান মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, ‘আগে লোড শেডিং বেশি হতো বলে প্রতিদিন ৫ থেকে ৬ ডজন মোমবাতি বিক্রি করতাম। এখন বিক্রি হয় না বললেই চলে। তাই দোকানে মোমবাতিও রাখিনা। ’
রাজধানীর মিরপুর এলাকার স্কুলছাত্র সীমান্ত বলে, গত পরীক্ষার আগের প্রত্যেক রাতে বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় পড়তে খুব কষ্ট হতো। গরমে অসহ্য লাগতো।
এবার ফাইনাল পরীক্ষার আগে সেধরনের ঘটনা ঘটেনি বলে জানায় সে।
বিদ্যুৎ বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর বিদ্যুৎ সমস্যা নিরসনে বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচি গ্রহণ করে। ফলে লোড শেডিংসহ নতুন নতুন এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০১৫
এজেডএস/জেডএফ/এমএ