ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৩ মাঘ ১৪৩১, ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৬ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

অভিযোগে অর্থ মেলে!

সালাহ উদ্দিন জসিম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮২৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ১১, ২০১৫
অভিযোগে অর্থ মেলে!

ঢাকা: মামলা (অভিযোগ) করলে অর্থ খরচ হয়, এটা সবারই জানা। কিন্তু মামলা করে অর্থ পাওয়া যায়- এটা ক’জন জানেন? যারা জানেন তাদের ১৬৮ জন মামলা ঠুকেছিলেন ক্ষতিপূরণ চেয়ে।

মামলার রায়ে সবাই মিলে যে অর্থ পেয়েছেন তার পরিমাণ ৩ লক্ষ, ১২ হাজার ৭৫০ টাকা।

এদের একজন শারমিন সুলতানা। বাংলানিউজকে তিনি বলেন, আমি পল্টন শর্মা হাউজ থেকে একটা পানি কিনি। যার দাম (এমআরপি) ১৫ টাকা। ওই প্রতিষ্ঠান আমার কাছ থেকে ২৫ টাকা দাম রেখেছিলো। আমি তাদের বিরুদ্ধে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর অভিযোগ করি। অধিদপ্তর তাদের পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করে, যার ২৫ শতাংশ (বারশত পঞ্চশ টাকা) আমি পেয়েছি।

আইন অনুযায়ী, কোনো উৎপাদনকারি/সরবরাহকারী/বিক্রেতা নির্ধারিত মূল্যের চেযে অধিক মূল্যে কোনো পণ্য বা ঔষধ বিক্রি, ওজনে কারচুপি, মেয়াদ উত্তীর্ণ পণ্য বিক্রি, পণ্যের মোড়কে খুচরা মূল্য ও মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ উল্লেখ না করলে এবং আইনের বাধ্যবাধকতা অমান্য করে দোকান বা প্রতিষ্ঠানে পণ্যের মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করলে যে কোনো ক্রেতা ‘ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯’-এর বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করতে পারবেন।

এসব অভিযোগ জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, ৭ বিভাগীয় উপ-পরিচালক, প্রত্যেক জেলার জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বরাবরে করতে হবে। কারণ উদ্ভবের ৩০ দিনের মধ্যে লিখিত অভিযোগ সরাসরি বা ফ্যাক্স/ই-মেইল/ওয়েব সাইটে করা যাবে।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (তদন্ত) মাসুম আরেফিন বাংলানিউজকে বলেন, ২০১০ সালের ৬ এপ্রিল আমাদের মহাপরিচালকের বাজার তদারকির মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে এই আইন (ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯) বাস্তবায়ন শুরু করি। গত মাসের (সেপ্টেম্বর) ২২ তারিখ পর্যন্ত ৫৩ হাজার ৬১০টিরও অধিক বিভিন্ন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে তদারকি কার্যক্রম পরিচালনা করেছি।

বিভিন্ন ধারায় দোষি সাব্যস্ত করে ১৩ হাজার ৬৭৩টি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানকে ১১ কোটি ৮ লক্ষ ১৫ হাজার ২৫০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে ১৬৮ জন অভিযোগকারিকে জরিমানার ২৫ শতাংশ হিসেবে ৪ লক্ষ ১২ হাজার ৭৫০ টাকা দেওয়া হয়েছে। অবশিষ্ট টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, পণ্যের মূল্য গোপন করে নতুন মূল্যে বিক্রি বা বর্ধিত মূল্যে বিক্রি হচ্ছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে ভোক্তারা কোনো প্রতিকার চান না। নীরবে সয়ে যাচ্ছেন। অথচ আমরা কিন্তু ভোক্তা অধিকার সচেতনতা বিষয়ে হরহামেশা এসএমএস, পত্রিকায় বিজ্ঞাপনসহ অনেক প্রচারণা চালাচ্ছি। অনেকে আবার আমাদের কাছে অভিযোগ করছেন, আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। তারা প্রতিকার পাচ্ছে।

মাসুম আরেফিন বলেন, আমাদের আইনটি আপোসযোগ্য। ত‍াই ভোক্তা লাভবান হলে আমরা আপষ করে দিই।

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ জানতে ভিজিট করুন

অথবা ১ কারওয়ান বাজার, টিসিবি ভবন, ঢাকায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযোগ সেলে যোগাযোগ করতে পারেন।

বাংলাদেশ সময়: ০৮২৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ১১, ২০১৫
এসইউজে/জেডএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।