ঢাকা: বিভিন্ন তদবিরে সাড়া না দেওয়ার জন্য ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের অনুরোধ জানিয়েছেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান।
সোমবার (১২ অক্টোবর) অর্থমন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ‘ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সঙ্গে বিশেষায়িত ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠান সমূহের বার্ষিক কর্মসম্পাদন সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ অনুরোধ জানান।
প্রতিমন্ত্রী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, নিজ কাজের মধ্যে ৯০ ভাগই তদবির করতে হয়। এর মধ্যে ৮০ ভাগই অনৈতিক তদবির।
তিনি বলেন, এখন গ্রাম গঞ্জেও ডিও লেটার শব্দটি বেশ পরিচিত। এপিএস এর কাছ থেকে আমার প্যাড নিয়ে যাওয়া হয়। আবার নিজেরাও প্যাড তৈরি করে নেন।
তদবিরের যন্ত্রণার উদাহরণ দিতে গিয়ে তিনি বলেন, অনেক সময় রাতের বেলায় এসে হাজির। কোনো একজন ব্যাংকের চেয়ারম্যানকে ফোন দিয়ে আমাকে ফোন ধরিয়ে দেওয়া হয়। তখন কিছু বলাও যায় না।
ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের প্রতি তিনি বলেন, আমার ফোন থেকে ফোন গেলেও আপনার নিজেদের মতো সিদ্ধান্ত নেবেন।
এক্ষেত্রে তদবির প্রার্থীরা দলীয় পরিচয় বহন করে বলে ইঙ্গিত দেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, এই সরকার সংস্কারক সরকার। বিভিন্ন পর্যায়ে সংস্কার চলছে। এক্ষেত্রে স্বচ্ছতা বড় বিষয়। সরকার কিছু লুকাতে চায় না। যা হবে সবকিছুই জনগণ জানবে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব ড. এম আসলাম আলম।
অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দেশের ৭টি বিশেষায়িত ব্যাংকের কর্ম সম্পাদনের লক্ষ নির্ধারণে অগ্রগতির যাচাই সম্পর্কিত চুক্তি সাক্ষরিত হয়।
চুক্তি স্বাক্ষরকারী প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ, কর্মসংস্থান ব্যাংক, আনসার ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংক, প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক, বাংলাদেশ হাউজ বিল্ডিং ফাইন্যান্স কর্পোরেশন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১২, ২০১৫/আপডেট ১৭৩৯ ঘণ্টা
এমএন/বিএস