সিলেট: শিশু শেখ সামিউল আলম রাজন হত্যা মামলায় ষষ্ঠ দিনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়েছে। সোমবার (১২ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় কারাগারে থাকা ১০ আসামির উপস্থিতিতে সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়।
সিলেট মহানগর দায়রা জজ আকবর হোসেন মৃধার আদালতে বিকেল ৩টা পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে সাক্ষ্য দেন গিয়াস মেম্বার, আফতাব মিয়া, আব্দুল করিম ও কোরবান আলী।
এনিয়ে বহুল আলোচিত এ মামলায় মামলার মোট ৩৮ জন সাক্ষীর মধ্যে ২১ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হলো।
মহানগর দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পিপি মফুর আলী বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। আগামী ১৩, ১৪ ও ১৫ অক্টোবরও সাক্ষ্য নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
এর আগে ১ অক্টোবর এই আদালতে রাজনের বাবা শেখ আজিজুর রহমান ও জালালাবাদ থানার বরখাস্তকৃত এসআই আমিনুল ইসলামের সাক্ষ্যগ্রহণের মধ্য দিয়ে বহুল আলোচিত এই মামলার বিচারকার্য শুরু হয়। পরবর্তীতে ৪ অক্টোবর চারজন, ৭ অক্টোবর চারজন, ৮ অক্টোবর চারজন, ১১ অক্টোবর তিনজন সাক্ষী সাক্ষ্য দেন।
গত ৮ জুলাই ভোরে ‘চোর’ সন্দেহে শিশু রাজনকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। নির্যাতনের ২৮ মিনিটের ভিডিওচিত্র ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দিলে দেশে বিদেশে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে মানুষ। খুনিদের শাস্তি দাবিতে মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করে আসছেন তারা।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের ইন্সপেক্টর সুরঞ্জিত তালুকদার গত ১৬ আগস্ট ১৩ জনের বিরুদ্ধে এ হত্যা মামলার চার্জশিট দাখিল করেন।
পরে ২২ সেপ্টেম্বর আদালতের বিচারক চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলায় সৌদি-আরবে আটক কামরুলসহ ১৩ আসামির বিরুদ্ধে ৩০২/২০১/৩৪ ধারায় চার্জ গঠন করেন। এদিন আদালতের বিচারক মামলার বিচারকাজ দ্রুত সম্পন্নে ১. ৪, ৭, ৮, ১১, ১২, ১৩, ১৪ ও ১৫ অক্টোবর সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য্য করেন।
এ মামলায় অভিযুক্তরা হচ্ছেন- সিলেট সদর উপজেলার কুমারগাঁও শেখপাড়ার মৃত আব্দুল মালেকের ছেলে সৌদি আরবে আটক কামরুল ইসলাম, তার সহোদর মুহিত আলম ওরফে মুহিত আলম, আলী হায়দার ওরফে আলী ও শামীম আলম, দিরাইয়ের বাসিন্দা পাভেল ইসলাম, চৌকিদার ময়না মিয়া ওরফে বড় ময়না, জালালাবাদ থানার টুকেরবাজার ইউনিয়নের পূর্ব জাঙ্গাইল গ্রামের মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিনের ছেলে ভিডিওচিত্র ধারণকারী নূর আহমদ ওরফে নুর মিয়া, দুলাল আহমদ, আয়াজ আলী, তাজ উদ্দিন বাদল, ফিরোজ মিয়া, আছমত আলী ওরফে আছমত উল্ল্যাহ ও রুহুল আমিন ওরফে রুহেল।
এদের মধ্যে সৌদি-আরবে আটক আছেন কামরুল ইসলাম ও শামীম আলম ও পাভেল ইসলামকে অভিযোগপত্রে এবং অভিযোগ গঠনে পলাতক দেখানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪২ ঘণ্টা, অক্টোবর ১২, ২০১৫
এএএন/পিসি