ঢাকা: বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের (বিসিক) স্বেচ্ছাচারিতায় ঝুঁকিতে শিল্প মালিকরা। করপোরেশন খেয়াল খুশি মতো শিল্প প্লটের দাম বাড়িয়ে অনিশ্চয়তায় ফেলে দিয়েছে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প মালিকদের।
ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের নিয়মনীতি উপেক্ষা করে করপোশেন বোর্ড সভায় ইচ্ছেমতো প্লটের দাম বাড়িয়েছে বিসিক। প্রতিটি প্লটের মূল্য ৬২০০ শতাংশ করে বাড়ানো হয়েছে। যা সব নীতি নৈতিকতার বাইরে বলে মনে করেন কমিটির সদস্যরা।
শিল্প মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, বিসিক শিল্প প্লটের মূল্য ৬২০০ শতাংশ বাড়িয়ে নতুন মূল্য নিধারণ করেছে। একই সাথে এক বছর আগে যারা প্লট নিয়েছেন তাদেরও একই হারে মূল্য পরিশোধ করার অনুরোধ করা হয়েছে।
বিসিকের এই নির্দেশনায় ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প মালিকদের মাঝে হতাশা নেমে এসেছে। বিসিকের এ সিদ্ধান্ত শিল্পের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
শিল্প মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ওমর ফারুক চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, সবকিছুরই একটা নিয়মনীতি আছে। তারা (বিসিক) কীভাবে ৬২০০ শতাংশ মূল্য বৃদ্ধি করে? একশ শতাংশ মূল্য বৃদ্ধি করলেও হতো।
বিসিক প্লটের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি এ শিল্পের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে মনে করেন সংসদীয় কমিটির সভাপতি। তিনি বলেন, বিসিক ব্যবসা করতে আসেনি, তারা ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের সহায়তা করতে এসেছে। এভাবে প্লটের মূল্য বৃদ্ধি অন্যায়, অযৌক্তিক।
সংসদীয় কমিটির কাছে প্লটের মূল্য বৃদ্ধির যৌক্তিকতা তুলে বিসিক চেয়ারম্যান আহমদ হোসেন খান জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন শিল্প প্লটের দাম বাড়ানো হয়নি, তাই এই মূল্য বৃদ্ধি ঠিক আছে।
যদিও কমিটি তার যুক্তি গ্রহণ করেনি। সংসদীয় কমিটি মনে করে মূল্য বৃদ্ধি করতে হলে প্রতি বছর ১০০ শতাংশ করে বৃদ্ধি করলেই পারতো। এভাবে একবারে ৬২০০ শতাংশ মূল্য বৃদ্ধি অন্যায়।
সোমবার (১২ অক্টোবর) শিল্প মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটিতে এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়। বৈঠকে অংশ নেন কমিটির সদস্য মো. আব্দুর রাজ্জাক, আবুল কালাম মো. আহ্সানুল হক্ চৌধুরী।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১২, ২০১৫
এসএম/এমজেএফ