খুলনা: খুলনায় পৈশাচিক নির্যাতনে নিহত শিশু রাকিব হাওলাদার হত্যা মামলার সাক্ষ্য নেওয়ার তৃতীয় দিনে আরও ছয়জন আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন।
মঙ্গলবার (১৩ অক্টোবর) খুলনা মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক (অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ) দিলরুবা সুলতানা এ সাক্ষ্য নেন।
এ নিয়ে আদালত তিন দিনে ২১ জনের সাক্ষ্য নিলেন। বুধবার আরও ১২ জনের সাক্ষ্য নেওয়ার কথা রয়েছে।
আদালতে যারা সাক্ষ্য দিয়েছেন- রাকিবের গ্যারেজ মালিক নূর আলম, সরোয়ার হোসেন, কামরুল মোল্লা, সুমন হাওলাদার ও প্রত্যক্ষদর্শী রাকিবের এক সহপাঠী শিশু।
আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) সুলতানা রহমান শিল্পী বলেন, সাক্ষ্য নেওয়ার তৃতীয় দিনে আদালত মোট ছয়জনের সাক্ষ্য নিয়েছেন। এদের একজন রাকিবের সহপাঠী ও প্রত্যক্ষদর্শী।
গত ০৩ আগস্ট বিকেলে খুলনায় কমপ্রেসার মেশিন দিয়ে শিশু রাকিবের মলদ্বারে হাওয়া ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। অতিরিক্ত বায়ুর চাপে রাকিব গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে। সঙ্গে সঙ্গে তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে রাকিবকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
শিশু রাকিবকে নির্যাতনের ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে শরীফ ও মিন্টু মিয়াকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে ক্ষুব্ধ জনতা। পরে শরীফের মা বিউটি বেগমকেও গ্রেফতার করে পুলিশ। এ ঘটনায় পরদিন নিহত শিশুর বাবা মো. নুরুল আলম বাদী হয়ে তিনজনের নামে সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন (নং ০৪)।
২৫ আগস্ট এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই কাজী মোস্তাক আহমেদ এজাহারভুক্ত তিন আসামি মোটরসাইকেল গ্যারেজ মালিক ওমর শরীফ, তার কথিত চাচা মিন্টু খান ও শরীফের মা বিউটি বেগমকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
০৬ সেপ্টেম্বর মহানগর আদালত বিচার কার্য শুরুর জন্য মামলাটি মহানগর দায়রা জজ আদালতে পাঠান।
এদিকে, পৈশাচিকভাবে শিশু রাকিবকে হত্যার পর খুলনাসহ সারা দেশে নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা এমনকি শিশুরাও প্রতিবাদ জানাতে মানববন্ধন, প্রতিবাদ মিছিল, সংবাদ সম্মেলনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৩, ২০১৫
এমআরএম/এসএস