সিলেট: শিশু শেখ সামিউল আলম রাজন হত্যা মামলায় সপ্তম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে মঙ্গলবার (১৩ অক্টোবর)। এদিন চারজন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন।
এ নিয়ে বহুল আলোচিত এ মামলার মোট ৩৮ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হলো।
দুপুর ১২টা থেকে বিকেল তিনটা পর্যন্ত সিলেট মহানগর দায়রা জজ আকবর হোসেন মৃধার আদালতে পর্যায়ক্রমে সাক্ষ্য দেন পুলিশ কনস্টেবল জাকির আহমদ ও মনির আহমদ, মাইক্রোবাসের মালিক আব্দুল মান্নান ও ওয়ার্কশপের মালিক সুদীপ কপালী।
কারাগারে থাকা ১০ আসামি আদালতে হাজির করা হয়।
মহানগর দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পিপি মফুর আলী জানান, বুধবার (১৪ অক্টোবর) ও বৃহস্পতিবারও (১৫ অক্টোবর) সাক্ষ্য নেওয়া হবে।
এর আগে ১ অক্টোবর এই আদালতে রাজনের বাবা শেখ আজিজুর রহমান ও জালালাবাদ থানার বরখাস্তকৃত এসআই আমিনুল ইসলামের সাক্ষ্যগ্রহণের মধ্য দিয়ে মামলার বিচারকার্য শুরু হয়। পরবর্তীতে ৪ অক্টোবর চারজন, ৭ অক্টোবর চারজন, ৮ অক্টোবর চারজন, ১১ অক্টোবর তিনজন ও ১২ অক্টোবর চারজন সাক্ষী সাক্ষ্য দেন।
গত ৮ জুলাই ভোরে ‘চোর’ অপবাদ দিয়ে শিশু রাজনকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। নির্যাতনের ২৮ মিনিটের ভিডিওচিত্র ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দিলে দেশে-বিদেশে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে মানুষ। খুনিদের শাস্তি দাবিতে মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করে আসছেন তারা।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের ইন্সপেক্টর সুরঞ্জিত তালুকদার গত ১৬ আগস্ট ১৩ জনের বিরুদ্ধে এ হত্যা মামলার চার্জশিট দাখিল করেন।
পরে ২২ সেপ্টেম্বর আদালতের বিচারক চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলায় সৌদি আরবে আটক কামরুলসহ ১৩ আসামির বিরুদ্ধে ৩০২/২০১/৩৪ ধারায় চার্জ গঠন করেন। ওইদিন আদালতের বিচারক মামলার বিচারকাজ দ্রুত সম্পন্ন ১, ৪, ৭, ৮, ১১, ১২, ১৩, ১৪ ও ১৫ অক্টোবর সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য্য করেন।
এ মামলায় অভিযুক্তরা হচ্ছেন- সিলেট সদর উপজেলার কুমারগাঁও শেখপাড়ার মৃত আব্দুল মালেকের ছেলে সৌদি আরবে আটক কামরুল ইসলাম, তার সহোদর মুহিত আলম ওরফে মুহিত আলম, আলী হায়দার ওরফে আলী ও শামীম আলম, দিরাইয়ের বাসিন্দা পাভেল ইসলাম, চৌকিদার ময়না মিয়া ওরফে বড় ময়না, জালালাবাদ থানার টুকেরবাজার ইউনিয়নের পূর্ব জাঙ্গাইল গ্রামের মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিনের ছেলে ভিডিওচিত্র ধারণকারী নূর আহমদ ওরফে নূর মিয়া, দুলাল আহমদ, আয়াজ আলী, তাজ উদ্দিন বাদল, ফিরোজ মিয়া, আছমত আলী ওরফে আছমত উল্ল্যাহ ও রুহুল আমিন ওরফে রুহেল।
তাদের মধ্যে সৌদি আরবে আটক আছেন কামরুল ইসলাম ও শামীম আলম ও পাভেল ইসলামকে পলাতক দেখানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৩, ২০১৫
এএএন/এএসআর