ঢাকা: কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তের প্রয়োজনে সাতক্ষীরার জেলা প্রসাশক, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-সচিবসহ ১৮ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মঙ্গলবার (১৩ অক্টোবর) দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে তাদের তলব করে নোটিশ পাঠানো হয়।
দুদকের সহকারী পরিচালক ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আবদুস সোবহান তাদেরকে তলব করে সচিবলায়ের জনপ্রশাসন বিভাগের সিনিয়র সচিব বরাবর এ নোটিশ পাঠান। দুদকের অনুসন্ধান সংশ্লিষ্ট সূত্র বাংলানিউজকে নোটিশ পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
নোটিশে জেলা প্রশাসক ও উপ-সচিবসহ তিনজনকে আগামী ১৮ অক্টোবর দুদকের প্রধান কার্যালয়ে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। দুর্নীতির মাধ্যমে নিয়োগপ্রাপ্ত বাকি ১৫ জনকে ১৪ ও ১৫ অক্টোবর জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
১৮ অক্টোবর যাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে তারা হলেন- সাতক্ষীরা ঢাকা জেলা পরিষদের প্রশাসক নাজমুল আহসান, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-সচিব মো. আব্দুল কাদের এবং জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব (জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ) সোহেল আহম্মেদ।
দুর্নীতির মাধ্যমে নিয়োগপ্রাপ্ত ৫৭ জনের মধ্যে ১৫ জনকে বুধবার (১৪ অক্টোবর) ও বৃহস্পতিবার (১৫ অক্টোবর) দুদকের প্রধান কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
দুদক সূত্র জানায়, আর এ মামলার তদন্তে তৎকালীন নিয়োগ কমিটির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এবং যারা দুর্নীতির মাধ্যমে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে, তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হচ্ছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, কর্ণফুলী গ্যাস ফিল্ডে বিভিন্ন পদে ৫৭ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে কোনো প্রকার নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও যোগ্যতা যাচাই ছাড়াই নিয়োগ দেওয়া হয়। এক্ষেত্রে কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের অনুমতি পর্যন্ত নেওয়া হয়নি।
কোম্পানির জিএমের নেতৃত্বে কমিটির নিয়োগ-সংক্রান্ত সভায় তিনটি পদের জন্য ৩১টি শূন্যপদে নিয়োগের সিদ্ধান্ত হলেও, শেষ পর্যন্ত এ পদে লোক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে ১শ ৪৩ জন। নিয়োগের ক্ষেত্রে জেলা, মুক্তিযোদ্ধা, প্রতিবন্ধী ও নারী যথাযথভাবে সংরক্ষণ করা হয়নি।
দুদক সূত্রে জানা যায়, এসব নিয়োগ জালিয়াতির অনুসন্ধান শেষে পেট্রোবাংলার সাবেক চেয়ারম্যান ড. হোসেন মনসুরসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলার সুপারিশ করে প্রতিবেদন জমা জমা দিয়েছিলেন অনুসন্ধানী কর্মকর্তা।
এ প্রতিবেদনটি আমলে না নিয়ে সাবেক এ চেয়ারম্যানকে মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়ে পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের অনুমোদন দেয় কমিশন। পরে কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী চলতি বছরের ২২ জুন চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানায় পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৩, ২০১৫
এডিএ/এসএস