ধুনট (বগুড়া): অনুমোদন ছাড়াই বগুড়ার ধুনট উপজেলায় ইছামতি নদীর আড়কাটিয়া পয়েন্ট থেকে বালু উত্তোলন করছে রঞ্জু মিয়া (৩০) নামে স্থানীয় এক বালু ব্যবসায়ী।
প্রায় এক মাস ধরে শ্যালো মেশিন চালিত খনন যন্ত্র দিয়ে বালু উত্তোলন করছেন তিনি।
বুধবার (১৪ অক্টোবর) সকাল ১০টার দিকে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, আড়কাটিয়া গ্রামের ওই স্থানে নৌকার ওপর বসানো হয়েছে শ্যালো মেশিন। নদীতে ভাসমান নৌকার উপর বসানো শ্যালো মেশিনের সাহায্যে পাইপ দিয়ে নদীর তলদেশ থেকে খনন করে অবাধে উত্তোলন করা হচ্ছে বালু। এ বালু একই এলাকার সুলতানহাটা গ্রামের সিরাজুল ইসলাম খানের কাছে বিক্রি করছেন আড়কাটিয়া গ্রামের ব্যবসায়ী রঞ্জু মিয়া।
স্থানীয়রা জানান, বালু ব্যবসায়ী রঞ্জু মিয়া স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি। তাই তার ভয়ে বিষয়টি প্রশাসনকে কেউ জানাতে সাহস পায় না। প্রায় এক মাস ধরে বালু তোলার ফলে ইতোমধ্যে নদীর দক্ষিণ তীরে ভাঙন দেখা দিয়েছে।
বর্তমানে নদীর পানি কমে গেছে। তাই ভাঙন ভয়াবহ আকার ধারণ করেনি। কিন্তু বর্ষা মৌসুমে নদীর পানি বাড়ার সঙ্গে এ ভাঙন ভয়াবহ আকার ধারণ করবে। তখন বাড়িঘর, আবাদি জমি ও পাকা সড়ক ভাঙনের আশঙ্কা রয়েছে।
বালু ব্যবসায়ী রঞ্জু মিয়া বাংলানিউজকে জানান, ইছামতি নদী থেকে বালু উত্তোলনে সরকারি কোনো অনুমতি নেই। পার্শ্ববর্তী গ্রামের সিরাজুল ইসলাম খানের বাড়ির সামনের পুকুর ভরাটের জন্য দশ হাজার ঘনফুট বালু উত্তোলনের চুক্তি হয়েছে।
প্রতি হাজার ঘনফুট বালু উত্তোলনের জন্য দুই হাজার করে টাকা করে নেওয়া হচ্ছে। তবে নদী থেকে বালু উত্তোলনের ফলে বাড়িঘর, আবদি জমি কিংবা পাকা সড়কের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা নেই বলে জানান তিনি।
ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হাফিজুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, সরকার অনুমোদিত বালু মহাল ছাড়া অন্য কোনো স্থান থেকে বালু উত্তোলনের কোনো নিয়ম নেই। ইছামতি নদী থেকে বালু উত্তোলনের কোনো অনুমতি নেই।
বিষয়টি তাকে কেউ অবগত করেনি। তবে, খোঁজ-খবর নিয়ে অবৈধ বালু ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০১৫
এমজেড