ঢাকা, বুধবার, ২২ মাঘ ১৪৩১, ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৫ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত হলো নীলফামারীর বিলুপ্ত ৪ ছিটমহল

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৩২ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০১৫
বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত হলো নীলফামারীর বিলুপ্ত ৪ ছিটমহল ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

নীলফামারী: বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত হলো বিলুপ্ত নীলফামারীর চারটি ছিটমহলে বাসিন্দারা।

বৃহস্পতিবার (১৫ অক্টোবর) সকাল ১১টায় স্থানীয় সংসদ সদস্য মুক্তিযোদ্ধা আফতাব উদ্দিন সরকার প্রধান অতিথি থেকে সংযোগের উদ্বোধন করেন।



পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির তত্ত্বাবধানে নবনির্মিত বিদ্যুৎ লাইনে বিনামূল্যে সংযোগ পেলো ২৩২ জন গ্রাহক।

টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়নে সংযুক্ত বিলুপ্ত ছিটমহল ৩১ নম্বর নগর জিগাবাড়িতে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. জাকীর হোসেন, উপজেলা চেয়ারম্যান তবিবুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রেজাউল করিম, পল্লী বিদ্যু সমিতি নীলফামারীর জেনারেল ম্যানেজার প্রকৌশলী এনামুল প্রামাণিক, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মিল্টন চন্দ্র রায় প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
 
নীলফামারী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার প্রকৌশলী এনামুল হক জানান, নীলফামারীর ডিমলা উপজেলায় অন্তর্ভূক্ত চারটি বিলুপ্ত ছিটমহলে পাঁচ কিলোমিটার বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইন নির্মাণ করে ২৩২টি বাড়িতে সংযোগ দেওয়া হয়েছে। সরকারের নির্দেশনা মতে বিদ্যুৎ লাইন স্থাপন ও সরবরাহের জন্য সব কার্যক্রম নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শেষ করা হয়।

সরকারের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ছিটমহলের যে বাসিন্দারা আবেদন করেছেন, তাদের বাড়িতে বিনামূল্যে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়েছে।
 
নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার টেপাখড়িবাড়ি, খগাখড়িবাড়ি ও গয়াবাড়ি ইউনিয়নে যুক্ত হওয়া চার ছিটমহলে জনসংখ্যা ১১৯টি পরিবারে ৫৪৫ জন। বড় খানকি, বড় খানকি খারিজা, খানকি খারিজা গিতালদহ ও নগর জিগাবাড়ি নামে চার ছিটমহল ছিলো ভারতের অভ্যন্তরে।

বিদ্যুৎ সংযোগ পাওয়া জয়নাল আবেদিন বলেন, অন্ধকার থেকে আমরা আলোর সান্নিধ্য পেলাম। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের জন্য যা করলেন তা ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।

বাংলাদেশ সময়: ১২৩২ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০১৫
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।