পঞ্চগড়: বাংলাদেশের অভ্যন্তরে থাকা সদ্য বিলুপ্ত ১১১টি ছিটমহলে ভূমি জরিপ কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৫ অক্টোবর) দুপুরে পঞ্চগড় সদর উপজেলার সদ্য বিলুপ্ত গাড়াতী ছিটমহলের মারুপাড়া এলাকায় আনুষ্ঠানিকভাবে ভূমি জরিপ কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়।
সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লায়লা মুনতাজেরী দীনা এ জরিপ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে এ জরিপ কার্যক্রম।
পরে তিনি ৬ জন বিলুপ্ত ছিটমহলবাসীর হাতে তাদের জমির প্রাথমিক খানাপুরি তথ্য ফরম তুলে দেন।
এ সময় পঞ্চগড় সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইলিয়াছ মেহেদী, পঞ্চগড় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোমিনুল ইসলাম, সদর উপজেলা কানুনগো মকছেদ আলী, হাফিজাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
পঞ্চগড় জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, পঞ্চগড়, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী, ও লালমনিরহাট জেলার অভ্যন্তরে থাকা সদ্য বিলুপ্ত ১১১টি ছিটমহলে মোট ১৮টি ভূমি জরিপ ওয়ার্কিং টিম গঠন করা হয়েছে।
এর মধ্যে পঞ্চগড় জেলার জন্য ৯টি, সদর উপজেলায় ১টি, বোদা উপজেলায় ৩টি এবং দেবীগঞ্জ উপজেলায় ৫টি।
পুরোনো নথিপত্র বিশ্লেষণ এবং দখলের ভিত্তিতেই ওয়ার্কিং কমিটিগুলো প্রাথমিক ভাবে এ জরিপ কার্যক্রম সম্পন্ন করবে।
ভূমি জরিপ কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য সংশ্লিষ্ট চারটি জেলার প্রশাসকদের নেতৃতে ৮ সদস্যের একটি করে ভূমি জরিপ মনিটরিং কমিটি গঠন করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের আহ্বায়ক করে ৮ সদস্যের একটি করে উপজেলা পর্যায়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ ছাড়া মাঠ পর্যায়ে জরিপ কার্যক্রম সম্পন্নের জন্য প্রতিটি উপজেলার কানুনগোকে আহ্বায়ক করে সাত সদস্যের একটি ওয়ার্কিং কমিটিও গঠন করা হয়েছে।
কানুনগোদের নেতৃত্বে এসব কমিটির সদস্যরা ছিটমহলের মাঠ পর্যায়ে গিয়ে ভূমি জরিপের কাজ সম্পন্ন করবেন।
জরিপ চলাকালে বিরোধীয় জমি-জমার ক্ষেত্রে কারো কোনো আপত্তি থাকলে তা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সংশ্লিষ্ট ইউএনও’র কাছে আবেদন করতে হবে। সেখানে নিস্পত্তি সম্ভব না হলে জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে গঠিত মনিটরিং কমিটি তা নিস্পত্তির ব্যবস্থা করবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০১৫
এসএইচ