চাঁদপুর: বেশি পুঁজির দোকান নির্ধারণ করে দোকানদারের নজর সরিয়ে অভিনব কায়দায় চুরি করে আন্তঃজেলা চোর চক্রের সদস্যরা।
নগদ আড়াই লাখ টাকা ও মোবাইল চুরির মামলায় গ্রেফতার ইকবাল (২৬) নামে আন্তঃজেলা চোর চক্রের এক সদস্য বৃহস্পতিবার (১৫ অক্টোবর) প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এ তথ্য জানায়।
এর আগে সকাল ১১টায় ইকবালকে পুলিশ কুমিল্লার মেঘনা থানার মানিরাজচর গ্রাম থেকে আটক করে চাঁদপুর মডেল থানায় নিয়ে আসে।
ইকবাল মানিরাজচর গ্রামের মৃত রাজ্জাক মিয়ার ছেলে।
চাঁদপুর মডেল থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আহসানুজ্জামান লাভু বাংলানিউজকে জানান, গত ১৯ সেপ্টেম্বর সকালে চাঁদপুর সদর উপজেলার মুন্সিরহাট বাজারের ব্যবসায়ী আব্দুল কুদ্দুছের মিষ্টি ও কনফেকশনারিতে ছয় চোর ঢুকে অভিনব কায়দায় দোকনদারের দৃষ্টি অন্যদিকে ঘুরিয়ে ক্যাশ বাকসে একটি ব্যাগের ভেতরে থাকা আড়াই লাখ টাকা এবং একটি মোবাইল নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় কুদ্দুছের ভাই সহিদুল ইসলাম খন্দকার ২০ সেপ্টেম্বর চুরি হওয়া মোবাইল নম্বর উল্লেখ করে চাঁদপুর মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ‘মোবাইল ফোন ট্র্যাকিং’ প্রযুক্তির মাধ্যমে ইকবালকে গ্রেফতার করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ইকবাল আরও জানায়, ঘটনার সময় তার সঙ্গে চোর চক্রের কালু, টিটু, সবুজ, আলমগীর ও মজিবর ছিল।
সাধারণত যেসব দোকানে লেনদেন বেশি হয় তেমন একটি দোকান নির্ধারণ করে সকালে দোকান খোলার আগেই সামনে ময়লা-আবর্জনা ফেলে রাখে চোর চক্র। দোকানদার ময়লা পরিষ্কার করতে ব্যস্ত হয়ে পড়লে, এক ফাঁকে তার জুতা চুরি করে একটু দূরে সরিয়ে রাখা হয়। জুতা খুঁজতে বাইরে গেলে সেই ফাঁকে চুরি করে চক্রের সদস্যরা।
এই পদ্ধতিতে ইকবাল এবং তার দলের সদস্যরা দেশের বিভিন্ন জেলায় প্রায় শতাধিক চুরি ঘটনা ঘটিয়েছে। তবে এর আগে সে কখনও পুলিশের কাছে ধরা পড়েনি।
চাঁদপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুনুর রশিদ বাংলানিউজকে জানান, ইকবালকে ৩০৮ ধারায় মামলায় দুপুরে আদালতে পাঠালে বিচারক জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০১৫
এটি