খুলনা: খুলনায় শিশু রাকিব হত্যা মামলার টানা সাক্ষ্য গ্রহণের পঞ্চম দিনে মহানগর হাকিম আয়শা আক্তার মৌসুমী, ফারুক ইকবাল ও খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক সুব্রত কুমার মণ্ডল আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১৫ অক্টোবর) খুলনা মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক (অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ) দিলরুবা সুলতানা এ সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।
মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার সমন্বয়কারী ও বাদী পক্ষের আইনজীবী মোমিনুল ইসলাম বলেন, টানা সাক্ষ্য গ্রহণের ৫ দিনে আদালতে আসামি ও সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণকারী দুই বিচারক ও খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সাক্ষ্য দেন।
আদালত ২৫ অক্টোবর মামলার পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করেছেন।
নিজের গ্যারেজের কাজ ছেড়ে অন্যত্র কাজ নেওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে গত ৩ আগস্ট সন্ধ্যায় শরীফ মটরস্ গ্যারেজের মালিক ওমর শরীফ ও তার সহযোগী মিন্টু দোকানের ভেতর নিয়ে শিশু রাকিবের মলদ্বারে মোটরসাইকেলের চাকায় হাওয়া দেওয়ার মেশিন দিয়ে বাতাস ঢুকিয়ে দেয়।
এতে রাকিবের শরীর ফুলে যায় এবং ভেতরে নাড়িভুঁড়ি ছিঁড়ে যায়। ফলে ভেতরে রক্তক্ষরণের কারণে রাকিব মারা যায়। এ ঘটনায় রাকিবের বাবা আলম হাওলাদার তিনজনকে আসামি করে পরদিন খুলনা সদর থানায় ঘাতক শরীফ মটরস’র মালিক মো. শরীফ ও সহযোগী মো. মিন্টু খান ও শরীফের মা বিউটি বেগমের নামে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
রাকিবের মৃত্যুর খবর পেয়ে ওইদিন রাতে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে বিক্ষুব্ধ জনতা শরীফ ও মিন্টুকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের কাছে সোপর্দ ও পরে পুলিশ শরীফের মাকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতার হওয়া তিন জনই হত্যায় প্রত্যক্ষ জড়িত বলে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।
নৃশংস এ হত্যা ঘটনার পর খুলনাসহ সারাদেশে সর্বস্তরের মানুষ ঘাতকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে সোচ্চার হয়ে ওঠে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০১৫
এমআরএম/পিসি