বগুড়া: বগুড়ার গাবতলী উপজেলায় এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে দুই পুলিশ সদস্যকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে স্থানীয় জনতা।
বৃহস্পতিবার (১৫ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলার মড়িয়া ছয়মাইল নামক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, মাদকদ্রব্য বিক্রির অভিযোগে এক ব্যক্তিকে আটকের পর পিটিয়ে হত্যা করেছে পুলিশ। তাই অভিযুক্ত পুলিশের দলকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়।
এ ঘটনায় নিহত মোখলেছার রহমান (৪৫) উপজেলার বালিয়াদিঘী ইউনিয়নের দড়িপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
স্থানীয়রা বলেন, বৃহস্পতিবার (১৫ অক্টোবর) দুপুর ২টার দিকে গাবতলী মডেল থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আব্দুস সবুর একজন কনস্টেবল সঙ্গে নিয়ে গোলাবাড়ি বাজার এলাকায় যান। সেখানে তারা মোখলেছার রহমানের খোঁজখবর নেন। পরে মড়িয়া ছয়মাইল নামক স্থানে তাকে পেয়ে আটক করে পুলিশ।
প্রতক্ষদর্শীরা জানায়, পুলিশ মোখলেছারকে আটকের পর সেখানেই মারধর করতে থাকে। একপর্যায়ে ঘটনাস্থলেই মোখলেছারের মৃত্যু হয়।
এসময় বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী অভিযুক্ত এই দুই পুলিশকে আটকে রাখে।
খবর পেয়ে দ্রুত গাবতলী মডেল থানা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। সেখানে গিয়ে তারা মোখলেছারের মরদেহ ও আটকে রাখা দুই পুলিশ সদস্যকে থানায় নিয়ে আসার চেষ্টা করে। এসময় বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ভীষণ উত্তেজিত হয়ে ওঠে।
এদিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পূর্ব) আরিফুর রহমান মন্ডলের নেতৃত্বে বিপুল সংখ্যক দাঙ্গা পুলিশ ঘটনাস্থলে যায় এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালায়।
বিকেল ৪টা ৫মিনিটে এ বিষয়ে জানতে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পূর্ব) আরিফুর রহমান মন্ডলের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু ফোন রিসিভ না করায় এ ব্যাপারে তার বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
গাবতলী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিয়াজ উদ্দিন বাংলানিউজকে জানান, অবরুদ্ধ পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্যরা এখনও নিরাপদে আছেন। সঙ্গে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার আপ্রাণ চেষ্টা চলছে।
পরিস্থিতি শান্ত হলে বিস্তারিত জানানো যাবে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫১ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০১৫
এমবিএইচ/আরএইচএস/এএ