বগুড়া: বগুড়ার গাবতলী উপজেলায় পুলিশের পিটুনিতে নিহত মোখলেছার রহমানের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। তবে এ ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত কোনো মামলা দায়ের হয়নি।
শুক্রবার (১৬ অক্টোবর) বিকেলে উপজেলার দড়িপাড়া গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। এর আগে, ময়নাতদন্ত শেষে বেলা ৩টার দিকে মোখলেছারের মরদেহ পুলিশি প্রহরায় গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়।
পারিবারিক সূত্র জানিয়েছে, দাফন শেষে মোখলেছারের ছেলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করবেন। মামলায় নিহত ব্যক্তির ভাই আতিয়ার রহমান মজনুকেও আসামি করা হতে পারে। অবশ্য, হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই নিহতের মজনু পলাতক রয়েছেন।
এ বিষয়ে গাবতলী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিয়াজ উদ্দিন আহম্মেদ বাংলানিউজকে জানান, নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে মোখলেছারের স্বজনেরা অভিযোগ করেছেন, হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত পুলিশের সাময়িক বরখাস্তকৃত সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আব্দুর সবুর ও কনস্টেবল আব্দুর রহমান তাদের বিরুদ্ধে মামলা না করার জন্য মোখলেছারের পরিবারকে ‘ম্যানেজ’ করতে নানাভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তারা গ্রামের মাতবর ও জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে নিহতের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রেখে এ চেষ্টা চালাচ্ছেন।
অন্যদিকে, হত্যাকাণ্ডে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পূর্ব) আরিফুর রহমান মন্ডল বাংলানিউজকে বলেছেন, কমিটি প্রাথমিক তদন্তে আটক ব্যক্তিকে মারপিটের প্রমাণ পেয়েছে। এরপরও মৃত্যুর বিষয়টি সঠিকভাবে নিশ্চিত হতে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে এসে পৌঁছানো পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
বৃহস্পতিবার (১৫ অক্টোবর) গাবতলীর ছয়মাইল নামক স্থানে মোখলেছার রহমানকে আটক করেন গাবতলী মডেল থানার এএসআই আব্দুস সবুর ও কনস্টেবল আব্দুর রহমান। পরে তাকে মোটরসাইকেলে উঠিয়ে থানায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন তারা। অভিযোগ ওঠে, যেতে অস্বীকার করলে পুলিশ সদস্যরা মোখলেছার রহমানকে মারপিট ও লাথি মারেন। এতে মাটিতে পড়ে গিয়ে ঘটনাস্থলেই মোখলেছারের মৃত্যু হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৬, ২০১৫
এমবিএইচ/এইচএ/