ঢাকা: কলাবউকে স্নান করিয়ে মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) শুরু হবে মহাসপ্তমী। এদিন ভোরে ঢাক-ঢোল বাজিয়ে ও উলুধ্বনি দিয়ে মা দুর্গার ষোড়শ উপচারে সপরিবারে পুজো দেবেন তার ভক্তরা।
মহাসপ্তমীর দিন সকালে ত্রিনয়নী দেবী দুর্গার চক্ষুও দান করা হয়। এদিন ভক্তরা মা দুর্গাকে পুষ্প, নৈবেদ্য, আসন, বস্ত্র, চন্দন, ধূপ ও দীপ দিয়ে পূজা করবেন।
মহাসপ্তমী উপলক্ষে বিভিন্ন পূজা মণ্ডপে থাকবে সন্ধ্যায় ধর্মীয় ভক্তিমূলক গান, রামায়ণ পালা, আরতি প্রতিযোগিতা।
বুধবার (২১) মহাষ্টমীতে সবচেয়ে বড় আকর্ষণ সকাল ১০টায় কুমারী পূজা। এক বালিকাকে দেবীর আসনে বসিয়ে মাতৃজ্ঞানে পূজা দেওয়া হবে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রতিবারের মতো এবারও ঢাকার রামকৃষ্ণ মিশন ও মঠে কুমারী পূজা দেখতে মানুষের ঢল নামবে। বুধবার সন্ধ্যায় ধর্মীয় ভক্তিমূলক গান, আরতীর পর রাতে সন্ধি ও কালীপূজা অনুষ্ঠিত হবে।
এবার তিথির কারণে বেশ কিছুটা তারতম্য এসেছে। সে কারণে বৃহস্পতিবার (২২ অক্টোবর) একইদিন পড়েছে মহানবমী এবং বিজয়া দশমী।
পূজার নির্ঘণ্টে একই দিনে নবমী ও দশমী পূজা হলেও উৎসব ছাড়তে নারাজ আয়োজকরা।
তাই শুক্রবার (২৩ অক্টোবর) প্রতিমা বিসর্জন ও বিজয়া শোভাযাত্রা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এবার প্রশাসনের বেঁধে দেওয়া সময় অনুযায়ী দুপুর ২টা থেকে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে প্রতিমা বিসর্জন দিতে হবে। ঢাকায় ওয়াইজ ঘাট ও উত্তরার বিআইডব্লিউটিএ’র ল্যান্ডিং স্টেশনে প্রতিমা বিসর্জনের জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
পুরান ঢাকায় অর্থাৎ যারা ওয়াইজ ঘাটে প্রতিমা বিসর্জন দেবেন তাদের সকাল ১০ থেকে সাড়ে ১০টার মধ্যে ঢাকেশ্বরী মন্দিরে উপস্থিত থাকতে হবে।
এদিকে সোমবার হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের পাশাপাশি অন্যান্য ধর্ম-বর্ণের মানুষও দল বেঁধে পূজা দেখতে বের হয়েছিলেন। সন্ধ্যা হতেই পূজামণ্ডপগুলোয় দর্শনার্থীদের ভিড় বাড়তে থাকে। আর আলোয় আলোয় ঝলমলিয়ে ওঠে রাজধানীর পূজামণ্ডপগুলো।
এবার রাজধানীতে ২২২টিসহ সারাদেশে ২৯ হাজার ৪০০ মণ্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
জগতের মঙ্গল কামনায় দেবী দুর্গা এবার ঘোড়ায় চড়ে বসুন্ধরায় এসেছেন। আর বিদায় নেবেন দোলায় চড়ে।
বাংলাদেশ সময়: ০২৩৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ২০, ২০১৫
এসএস/এমএ