ধুনট (বগুড়া): পানি কমতে থাকায় প্রবল স্রোতের ঘূর্ণাবর্তের সৃষ্টি হয়ে বগুড়ার ধুনট উপজেলার ভান্ডারবাড়ি গ্রামে যমুনা নদীর ডান তীর সংরক্ষণ প্রকল্পের প্রায় ৫০ মিটার অংশ ধসে গেছে।
মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) ভোর ৫টার দিকে এই ধসের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা বাংলানিউজকে জানান, যমুনা নদীর ভাঙন ঠেকাতে ২০০৯ সালে ভান্ডারবাড়ি গ্রামে ৪শ’ মিটার দৈর্ঘ্য ডান তীর সংরক্ষণ প্রকল্পের কাজ করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। এতে ব্যয় হয়েছে প্রায় ১৭ কোটি টাকা। এই প্রকল্পের আওতায় যমুনা নদীর তীর স্লোপ করে জিও টেক্স বিছিয়ে তার ওপর সিসি ব্লক ফেলা হয়।
নির্মাণের পর থেকে পানির প্রবল স্রোতে দফায় দফায় সিসি ব্লক ও জিও টেক্স লণ্ডভণ্ড হয়ে নদীতে পড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয় ডান তীর সংরক্ষণ প্রকল্প। কিন্ত ক্ষতিগ্রস্ত প্রকল্প মেরামত করেনি পাউবো। ফলে ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে পড়ে এই প্রকল্প।
বর্তমানে পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে প্রবল স্রোতে নদীর কূলে ঘূর্ণাবর্তের সৃষ্টি হয়ে যমুনা নদীর তীর সংরক্ষণ প্রকল্প এলাকায় ধস দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় মঙ্গলবার সকালে আকর্ষিক তীর সংরক্ষণ প্রকল্পের ৪শ’ মিটারের ভাটির দিক থেকে প্রায় ৫০ মিটার অংশ যমুনা নদীতে ধসে গেছে।
ধুনট উপজেলার ভান্ডারবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান (ইউপি) আতিকুল করিম আপেল বাংলানিউজকে জানান, নির্মাণের পর থেকেই যমুনা নদীর তীর সংরক্ষণ প্রকল্পের ভান্ডারবাড়ি এলাকায় ধস দেখা দেয়। ক্ষতিগ্রস্ত এই প্রকল্প মেরামতের জন্য বার বার দাবি তুলেও কোনো কাজ হয়নি।
বর্তমানে নদী ভাঙন ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। ফলে ভাঙন ঝুঁকিতে পড়েছে ভান্ডারবাড়ি গ্রাম ও ভাটির দিকে ২২ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ৬শ’ মিটার যমুনা নদীর ডান তীর সংরক্ষণ প্রকল্প।
বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) সহকারী প্রকৌশলী হারুনর রশিদ বাংলানিউজকে জানান, যমুনা নদীর পানি কমতে থাকায় তীর সংরক্ষণ প্রকল্পের কয়েকটি স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। প্রকল্পের ক্ষতিগ্রস্ত স্থান সমূহে বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলে মেরামতের অর্থ বরাদ্দ চেয়ে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।
এই প্রকল্পের অনুকূলে অর্থ বরাদ্দ পাওয়া গেলে মেরামত কাজ শুরু করা হবে। তবে, জরুরিভাবে মেরামতের জন্য আপাতত কোনো প্রস্তুতি নেই বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১২০৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ২০, ২০১৫
আরএ