গাজীপুর: পারিবারিক কলহের জের ধরে স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যার দায়ে জালাল উদ্দিন (২৫) নামে এক যুবককে ফাঁসির আদেশ দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
মঙ্গলবার (১৭ নভেম্বর) গাজীপুরের জেলা জজ এ কে এম এনামুল হক এ রায় ঘোষণা করেন। এ সময় আসামি আদালতে উপস্থিতি ছিলেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার চরখিড়াটি গ্রামের সিরাজ উদ্দিনের ছেলে জালাল উদ্দিনের সঙ্গে ফরিদপুরের নগরকান্দা থানার মীরের গ্রামের ইউনুস মাতব্বরের মেয়ে কাকলী বেগমের (১৯) বিয়ে হয়।
পারিবারিক বিরোধকে কেন্দ্র করে বিয়ের পর থেকে জালাল ও কাকলীর মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া বিবাদ হতো। এর জের ধরে ২০০৯ সালের ২২ এপ্রিল রাতে কাকলীকে শারীরিক নির্যাতন করেন জালাল।
একপর্যায়ে কাকলীকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে হাত-পা চৌকির সঙ্গে বেঁধে ওড়না পেঁচিয়ে ও মুখে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। এ ঘটনার পর স্থানীয় লোকজন জালালকে আটক করে পুলিশের সোপর্দ করেন। জালাল আদালতে ১৪৪ ধারায় স্ত্রীকে হত্যায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
ঘটনার পর দিন নিহত কাকলীর বাবা ইউনুস মাতুব্বর বাদী হয়ে কাপাসিয়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। কাপাসিয়া থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) আজিজুল হক তদন্ত শেষে একই বছরের ১৪ অক্টোবর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
আদালত ১৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করেন। দীর্ঘ শুনানির পর বিজ্ঞ আদালত মঙ্গলবার দুপুরে জালাল উদ্দিনকে দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রেখে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের আদেশ দেন। একই সঙ্গে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
বাদী পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন সরকারি পিপি অ্যাডভোকেট হারিছ উদ্দিন আহমদ ও আসামিপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট ফখরুদ্দিন আকবরী।
বাংলাদেশ সময়ঃ ১৭১০ ঘণ্টা, ১৭ নভেম্বর ২০১৫
আরএ