চাঁদপুর:চাঁদপুর শহরের চেয়ারম্যানঘাট এলাকায় মুক্তি হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় মুন্নি আক্তার (২৫) নামে এক অন্তঃসত্ত্বার মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার (২৪ অক্টোবর) দিনগত রাতে চাঁদপুর থেকে কুমিল্লা হাসপাতালে নেওয়ার পথে হাজীগঞ্জ উপজেলার বাকিলা বাজার এলাকায় তার মৃত্যু হয়।
রোববার (২৫ অক্টোবর) দুপুরে মুন্নির মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে ওই হাসপাতালের চিকিৎসক ও স্টাফরা পলাতক রয়েছে।
মুন্নি চাঁদপুর সদর উপজেলার তরপুরচন্ডি গ্রামের মুন্সি বাড়ির দিদার হোসেনের স্ত্রী।
মুন্নির শাশুড়ি রীনা বেগম বাংলানিউজকে জানান, শনিবার দুপুর ১২টার দিকে মুন্নির প্রসব বেদনা শুরু হলে চাঁদপুর মাতৃমঙ্গল স্বাস্থ্য ক্লিনিকে রওনা হন তারা। এ সময় মুক্তি হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের নির্ধারিত দালালের খপ্পরে পড়ে এখানে নিয়ে আসতে হয়। তাকে আল্ট্রাসনোগ্রাম করে সিজার করাতে হবে বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়। সেই হিসেবে অপারেশনের জন্য এনেসথেসিয়া দিলে মুন্নির হার্টবিট বন্ধ হয়ে যায়।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এ সময় রোগীর স্ট্রোক হয়েছে বলে বিকেল ৫টার দিকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলেন এবং অ্যাম্বুলেন্সও ভাড়া করে দেন। পথে চাঁদপুর থেকে ১৫ কিলোমিটার বাকিলা যাওয়ার পর অ্যাম্বুলেন্সে থাকা মুন্নির স্বজনরা বুঝতে পারেন সে মারা গেছে। পরে হাজীগঞ্জের একটি ক্লিনিকে নিয়ে গেলে আরো দুই ঘণ্টা আগে রোগী মারা গেছেন বলে সেখানকার চিকিৎসক জানান।
মুন্নির চিকিৎসা বিষয়ে জানতে মুক্তি হাসপাতালের কোনো দায়িত্বশীল ব্যক্তিকে পাওয়া যায়নি।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত চাঁদপুর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) খন্দকার মো. ইসমাইল হোসেন বাংলানিউজকে জানান, ভুল চিকিৎসা কিনা তা এখন তাৎক্ষণিকভাবে বলা যাচ্ছে না। তবে ডাক্তার সামছুন্নাহার তানিয়া ও মো. নাজমুল হাসান অপারেশনের জন্য প্রস্তুতি নিলেও তারা অপারেশন করেন নি।
চাঁদপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুনুর রশিদ বিষয়টি বাংলানিউজকে জানান, ময়নাতদন্ত শেষে মুন্নির পরিবারের লোকজন মরদেহ বাড়িতে নিয়ে গেছে। তারা কোনো মামলা দায়ের করেননি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০১৫
আরএ