ঢাকা, বুধবার, ২১ মাঘ ১৪৩১, ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৫ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

শিল্পী সংস্থা না থাকাটাই সংগীতের বড় সংকট

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৭, ২০১৫
শিল্পী সংস্থা না থাকাটাই সংগীতের বড় সংকট ছবি: কাশেম হারুন / বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: শিল্পীদের কোনো সংস্থা কিংবা ঐক্য না থাকা সংগীতের বড় ক্রাইসিস (সংকট) বলে মনে করছেন গীতিকার, সুরকার, কণ্ঠশিল্পী এবং মিউজিক ব্যবসায়ীরা।  
 
বাংলাদেশ প্রতিদিন আয়োজিত 'সংগীতে সংকট: উত্তরণের পথ' শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে গীতিকার, সুরকার, কণ্ঠশিল্পী এবং মিউজিক ব্যবসায়ীদের বক্তব্য থেকে এ কথা উঠে আসে।



ইডব্লিউএমজিএল কনফারেন্স কক্ষে শনিবার (১৭ অক্টোবর) সকাল দশটায় অনুষ্ঠিত বৈঠকটির সঞ্চালনা করেন পত্রিকাটির সম্পাদক নঈম নিজম।
 
গোলটেবিল বৈঠকে আলোচনায় অংশ নেন প্রখ্যাত গীতিকার গাজী মাজহারুল আনোয়ার, সংগীত শিল্পী কুমার বিশ্বজিত, র‌্যাবের গণমাধ্যম শাখার পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান, লালন সংগীত শিল্পী ফরিদা পারভীন, সংগীত শিল্পী শুভ্র দেব, হায়দার হোসেন, আঁখি আলমগীর, শহীদুল্লা ফরায়জী, নকীব খান, সেলিম চৌধুরী, মিউজিক ব্যবসায়ী শেখ শাহেদ আলী পাপ্পু ও আনোয়ার হোসেন।
 
বক্তারা বলেন, সরকার, শিল্পী সমাজ ও ব্যবসায়ীরা ঐক্যবদ্ধ হলে কেবল এ সংকটের উত্তরণ ঘটবে। শিল্পীরা রয়্যালিটি পেলে আর কারো কাছে হাত পাততে হবেন না। ভিক্ষা করতে হবে না। সংগীতের জগতও সমৃদ্ধ হবে।

কেন সাবিনাকে মানুষের সহযোগিতা নিয়ে ট্রিটমেন্ট করতে হবে?
গীতিকার গাজী মাজহারুল আনোয়ার বলেন, সংগীতের বাগান দেখেছি। কিন্তু ফুল দেখছি না। এটা আমার আক্ষেপ। তবে এখানে এসে আরো আক্ষেপ বেড়ে গেছে।

গান দিয়ে দেশ স্বাধীন করেছি। কিন্তু গান দিয়ে দেশকে সমৃদ্ধ করতে পারিনি বলেও মন্তব্য করেন ঐতিহাসিক ‘জয় বাংলা বাংলার জয়’ গানের গীতিকার মাজহারুল আনোয়ার।

তিনি বলেন, গানের প্রাপ্তি ও অর্থনৈতিক দিক নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হচ্ছে। শিল্পীদের মর্যাদা দিতে হবে। না হলে কেমনে হবে? দৈন্যতা নিয়ে আর কতোদিন? কেন সাবিনা ইয়াসমিনকে মানুষের সহযোগিতা নিয়ে ট্রিটমেন্ট করতে হবে? কেন শিল্পীদের এ অবস্থা হয়? এটার উত্তর খুঁজছি। এটাই আমার দুঃখ।

মাজহারুল আনোয়ার বলেন, দেশ স্বাধীনের পরে বঙ্গবন্ধু আমার মাথায় হাত দিয়ে চুল টেনে বলেছিলেন, ‘তুই কোথাও যাবি না, এখানে (গানে) থাকবি’। বিবিসির সেরা গানের তালিকায় আমার তিনটি গান রয়েছে। কিন্তু দেশ আমাকে কি দিয়েছে? কিন্তু মানুষ আমাকে সম্মান করেছেন। বঙ্গবন্ধু আমাকে সম্মাননা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। কিন্তু তিনি পরপারে চলে যাওয়ায় সেটা নিতে পারিনি। অবশ্য পরবর্তীতে আমাকে এ পদক অন্যজনে দিতে চেয়েছিলেন, আমি কিন্তু নিইনি।

তিনি বলেন, শিল্পীরা কে কোন দলের তা দেখে সেভাবে মূল্যায়ন করা হয়। দশ লাইন লিখতে পারেন না, অথচ দলীয় পরিচয়ে তিনি সেরা শিল্পী হয়ে যান। সংস্কৃতির এ বিভাজন কখনো দেশকে সমৃদ্ধ করতে পারে না।

সমাজে বাকি সবাইকে সরকার সমৃদ্ধ করছে। সরকার নিজেও সমৃদ্ধ হচ্ছে। সবাই সমৃদ্ধ হলে শিল্পীরা কেন নয়, প্রশ্ন এ গুণী শিল্পীর।

সংগীতে সংকটের উত্তরণে প্রয়োজনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও বৈঠকে বসার ব্যবস্থা করতে আহ্বান জানান তিনি।

বর্তমান সময়ের গানের বিষয়ে তিনি বলেন, আজকাল যে সমস্ত প্রক্রিয়ায় গান হয় সেটা আমার পছন্দ না।

শিল্পীদের দাবির বিষয়ে গাজী মাজহারুল আনোয়ার বলেন, কেন মিটিং করে বলতে হবে, কমিশন দেন, এটা দেন ওটা দেন। এ বিষয়গুলো এমনিতে করার দরকার ছিলো।

সঙ্গীত শিল্পী ভিখারির জাত নয় যে, তাদেরকে দুস্থ হিসেবে কিছু দিয়ে দিলে হয়ে যাবে। তাদের যে প্রাপ্য সম্মান তা দেয়ার ব্যবস্থা করলেই হয়।

মর্যাদাও দেবেন না, তাহলে শিল্পী কেন গাইবেন?
কুমার বিশ্বজিত বলেন, সংগীতের বড় সংকট একত্রিত হতে না পারা। ক্লাব নেই। আমাদের সংগঠন নেই। এটা বড় ক্রাইসিস। দেশ পরিচালনায় যিনি আছেন তার কাছ থেকে সম্মানটা আসতে হবে। পয়সা দেবেন না, আবার সিআইপির মর্যাদাও দেবেন না, তাহলে একজন শিল্পী কেন গাইবেন? গাজী ভাই (গাজী মাজহারুল আনোয়ার) কেন লিখে যাবেন?।

তিনি বলেন, নতুন শিল্পী না এলেও ক্রাইসিস থাকবে। সবাইকে দায়িত্ব নিতে হবে। সংগীত জাতির আইডেন্টিটি, অনেক পাওয়ারফুল। সংগীতকে সম্মান না করলে অন্য (বিদেশি) সংস্কৃতিতে সব ছেয়ে যাবে। আর বর্তমান সময়ে চ্যানেলগুলো অন্য সংস্কৃতিকে প্রমোট করে। আর এসব দেখে নতুন প্রজন্ম নিজের ভাষায় কথা বলাকে দৈন্যতা মনে করে। আধুনিকতার নামে বিদেশ প্রেম হচ্ছে।

কুমার বিশ্বজিত বলেন, যারা গান নিয়ে অবৈধ ওয়েবসাইট করেছেন, তাদের তালিকা সরকারকে দেওয়া হয়েছে। বিটিআরসি চাইলে এগুলো বন্ধ করতে পারে। এফএম রেডিও গান চালায় কিন্তু পয়সা দেয় না। তাদেরকে চিঠি দিয়েছি। তারা জবাব দিয়েছে, ‘আগে গানের ‍মালিক ঠিক করেন পরে পয়সা’। আমি বলি, গানের মালিক ঠিক না থাকলে তোমরা গান চালাও কেন? তোমরা গানের কে?

এছাড়া যেসব দোকান গান ডাউনলোড করে বিক্রি করে তাদেরও তালিকা করেছি। প্রায় দেড় লাখ দোকান রয়েছে। ভারতে এসব দোকানকে লাইসেন্স দিয়ে তাদের থেকে অর্থ আদায় করা হয়। যে শিল্পীর গান ডাউনলোড হবে সেই শিল্পী অর্থ পাবেন। কিন্তু আমাদের দেশে সে সিস্টেম নেই।

তিনি আরো বলেন, এসব কিছুর জন্য আমাদের একাত্মতা না থাকাটাই দায়ী।
 
পাইরেসির বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সচেতন করতে হবে
র‌্যাবের গণমাধ্যম শাখার পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান বলেন, ভিডিও পাইরেসি রোধে একটি টাস্কফোর্স আছে। এ টাস্কফোর্স অভিযান পরিচালনা করছে। প্রায় ২০ লাখ সিডি আটক করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে অপরাধীরা বিভিন্ন কৌশলে অপরাধ করছেন। যেমন শিল্পীদের গান তিনভাবে পাইরেসি হয়। সেগুলো হচ্ছে- অবৈধ ওয়েবসাইট, হার্ডড্রাইভ ও এফএম রেডিও। অনেকে এসব কাজ যে অপরাধ তাও জানে না। যেমন যে দোকানি গান ডাউনলোড করে বিক্রি করছেন, তিনি তো জানেন না, এটা একটা অপরাধ।

তার মতে, এ বিষয়ে শিল্পীদেরই জনগণকে সচেতন করে তুলতে হবে। এটা যে একটা অপরাধ তা জানাতে হবে। সব বিষয় খুঁজে বের করা আমাদের জন্য কষ্টসাধ্য। এজন্য আপনারা (শিল্পীরা) যদি সঠিক তথ্য দেন অপরাধীদের বিষয়ে তাহলে আমরা ব্যবস্থা নেব।
 
সম্মান দিয়ে সেটা আবার কেড়ে নেওয়া হয়েছে
লালন সংগীত শিল্পী ফরিদা পারভীন বলেন, লালনের সেই কথা বলে শুরু করবো। সত্য কাজে কেউ নয় রাজি, সবই দেখি তা না না না। এখানেও একই অবস্থা। লালনের এ কথা সাড়ে তিনশ’ বছর ধরে চলে আসছে। আমরা শিল্পীরা কাঁকড়ার জাত। কেউ ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসি না।

সংগীত শিল্পীকে এদেশে মূল্যায়ন করা হয় না অভিযোগ করে তিনি বলেন, এদেশে সাবিনা ইয়াসমিন, সুবির নন্দীর মতো গায়ক-গায়িকাকে চিকিৎসার জন্য অন্যের সহায়তা চাইতে হয়। মোবাইল কোম্পানিতে আব্দুর রহমান বয়াতির ১৬ কোটি টাকা জমা হয়েছিল, অথচ তাকে মানুষের সহযোগিতা নিয়ে চিকিৎসা করে পরপারে যেতে হয়েছে।

কয়েকদিন আগেও বাংলাদেশ বেতারে একজন বিশেষ শ্রেণিভুক্ত শিল্পীর ফি দেওয়া হতো মাত্র ৩৭৫ টাকা বলে জানান তিনি।

ফরিদা পারভীন বলেন, আগে সরকারিভাবে জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত শিল্পীদের সম্মানি দেওয়া হতো। পরে সেটাও তুলে দেওয়া হয়। সম্মান দিয়ে সেটা আবার কেড়ে নেওয়া হয়েছে।

আমি ১৯৮৭ সালে জাতীয় পুরস্কার পাওয়ার এক বছর পর জানতে পারি, এমন একটা সম্মানির ব্যবস্থা আছে। এক বছর তারা আমাকে পেমেন্ট দেয়নি। রেডিওতে একজন বিশেষ শ্রেণিভুক্ত শিল্পীকে দেওয়া হতো মাত্র ৩৭৫ টাকা। সেটা ৭০ শতাংশ বাড়াতে অর্থমন্ত্রীকে অনুরোধ করেছিলাম। সেটা যখন বাড়লো, তখন রেডিওতে আমার সময় কমিয়ে দেওয়া হলো।

তিনি বলেন, সত্য কাজ করেন, সত্য কথা বলেন। সবাই মিলে যদি করি, তাহলে কাজটা হবে।

আমি হতাশ হবো না
শুভ্র দেব বলেন, আমি হতাশ হবো না। কারণ, শুধু গান ডাউনলোড থেকেই এক শিল্পী মাসে ১৭ লাখ টাকা আয় করেছেন। এ তথ্য আমাকে বিটিআরসি দিয়েছে। তাই বলছি, প্রপার ওয়েতে গান আপলোড, ডাউনলোড ও এফএম রেডিও’র কাছে বিক্রি করলেই হয়।

তিনি বলেন, দোষ দিয়ে কি লাভ? আমরাইতো ভালো গান দিতে পারছি না। পত্রিকায় সাক্ষাতকার আর বড় বড় ছবি দিলে ভালো শিল্পী হওয়া যায় না। ভারতে একটি বিশেষায়িত সফটওয়্যার আছে। কারো গান কোথাও ব্যবহার করা হলে তা কেন্দ্রীয়ভাবে জানা ‍যায়। তারপর নির্ধারিত অর্থ আদায় করে শিল্পীদের দেওয়া হয়। আশা করি, আমাদের দেশেও এ সিস্টেম চালু হবে। আর চালু হলে শিল্পীরা ভালো রয়্যালিটি পাবেন।

শুভ্রদেব বলেন, আমাদের রুনা লায়লা, সাবিনা ইয়াসমিন, গাজী মামারা যদি গান গাওয়া ও লেখা বন্ধ করে দেন তাহলে কি হবে? মানুষ হার্ট অ্যাটাক করবে। আর তখনই কোর্ট রুল জারি করবেন, শিল্পীদের সকল সুযোগ সুবিধা দেওয়ার জন্য। কারণ, আমরাতো সুবিধার জন্য অনশন করতে পারি না।

আমরা নিজেরাই নিজেদের সম্মান করতে জানি না
আঁখি আলমগীর বলেন, একজন ভারতীয় শিল্পী বাংলাদেশে এসে যে পারিশ্রমিক নিয়ে যান, তা তিনি নিজ দেশেও আয় করেন না। তাদের পেছনে অনেক প্রতিষ্ঠান লাখ লাখ টাকা ব্যয় করেন, অথচ আমরা স্পন্সর পাই না। ভারতীয় শিল্পী আনা যেন একটা প্রেস্টিজ ইস্যু। মূলত আমরা নিজেরাই নিজেদের সম্মান করতে জানি না।

তিনি বলেন, ভারতীয় শিল্পী নিয়ে আমাদের এখানে প্রচুর মাতামাতি হয়। সাতদিন আগে লাইন দিতে হয় টিকিট সংগ্রহ করতে। যার একটা গানও হিট হয়নি তার পেছনেও আমাদের দেশের অনেক প্রতিষ্ঠান লাখ লাখ টাকা ব্যয় করে। ওই শিল্পী মার্সিডিজ গাড়িতে রিসিভ না করলে হোটেলেই যেতে চান না। অথচ আমাদের অনেক গুণী শিল্পী থাকলেও তাদের পেছনে টাকা খরচ করতে চায় না। এ কারণে আমাদের সংগীত ইন্ডাস্ট্রিটা উঠতে পারছে না।

তিনি বলেন, মোবাইল ফোনকে বলা হচ্ছে, গান রিলিজে এখনকার সবচেয়ে বড় মাধ্যম। সেটা হলে ১০ বছর পর এ গানটি বেঁচে থাকবে কীভাবে? তখন কেউ শুনতে চাইলে গানটি কোথায় পাবে? তাই সিডির বিকল্প আসলে কোনো কিছুকে ভাবা যাবে না।

চারটা গানের পেট, মাথা কেটে জোড়া দিয়ে সুরকার
হায়দার হোসেন বলেছেন, এখন আর শিল্পী হতে গান জানতে হয় না। সুর, লয়, তাল না বুঝেও শিল্পী হয়ে যাচ্ছেন অনেকে। চারটা গানের পেট, মাথা কেটে জোড়া দিয়ে হয়ে যাচ্ছেন সুরকার। নকল প্রবণতায় সংগীত জগতটা ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। সৃষ্টি হচ্ছে না গুণী শিল্পী। সাবিনা ইয়াসমিনেরও একটা গান ১০৫ বার পর্যন্ত রেকর্ড নেওয়া হয়েছে। এখন যন্ত্রের মাধ্যমে গান হয়ে যাচ্ছে। এখন শিল্পীরা সুর, লয়, তাল বোঝেন না অথচ গান হয়ে যাচ্ছে। বাজাতে জানে না, হয়ে যাচ্ছেন মিউজিক ডিরেক্টর।

তিনি বলেন, আমাদের তবলাবাদক, সেতারবাদক, গিটারবাদক তৈরি হচ্ছে না। এখন যারা বাজাচ্ছেন তারা নিজেদের মতো বাজান। আমার গানের সঙ্গে মিলিয়ে বাজাতে বললে তারা পারেন না। আমি সারা জীবনে দু'টি লোকসঙ্গীতের সুর করতে পেরেছি। এটা অনেক কঠিন। অথচ, অনেকেই এখন জোড়াতালি দিয়ে লোকসংগীতের সুর করে ফেলছেন।  

এফএম রেডিওগুলো অন্যের গান চুরি করে বাজাচ্ছে
সেলিম চৌধুরী বলেছেন, এফএম রেডিওগুলো অন্যের গান চুরি করে বাজাচ্ছে। কীভাবে কোন আইনে তারা এটা করছে? এটা রীতিমতো চৌর্যবৃত্তি। এতে শিল্পী ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন, সংগীত ইন্ডাস্ট্রি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। এটা বন্ধ করা দরকার।

তিনি বলেন, এখন আর সিডিতে কেউ তেমন একটা গান শোনেন না। গান শোনার অন্যতম মাধ্যমে পরিণত হয়েছে মোবাইল ফোন। সেটা মাথায় রেখে গান রিলিজ করা দরকার। এজন্য মোবাইল কোম্পানিগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে। কিছু গান মোবাইলে রিলিজ হচ্ছে। কিন্তু মোবাইল কোম্পানিগুলো সারাদিন নিজেদের বিজ্ঞাপন দেয়, রিলিজ হওয়া গানের বিজ্ঞাপন দেয় না।

সেলিম চৌধুরী বলেন, আমরা ভারতের গান শুনি তাদের টিভিতে। অথচ, দেশের বাইরে আমরা আমাদের গান শুনাতে পারি না। ভারতে নেপালের চ্যানেল আছে, ভুটানের চ্যানেল আছে, কিন্তু আমাদের চ্যানেল নেই। এ কারণে আমরা পিছিয়ে যাচ্ছি।

বাংলাদেশ সময়: ১৪২৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৭, ২০১৫
ইএস/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।