নীলফামারী: নীলফামারীতে এক মাদ্রাসা ছাত্রকে হত্যার অপরাধে মাদ্রাসা সুপারসহ তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছে আদালত।
পাশাপাশি তাদের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরো ছয় মাস করে কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (১৯ অক্টোবর) বিকেলে নীলফামারী অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মাহবুবুল আলম এ রায় দেন।
দণ্ডাদেশপ্রাপ্তরা হলেন-জেলার জলঢাকা উপজেলার কৈমারী ইউনিয়নের বসুনিয়াপাড়া এজাহারিয়া জামিয়া দারুল উলুম হাফিজিয়া মাদ্রাসার সুপার শওকত আলী (৫৮), সহকারী শিক্ষক মফিজুল ইসলাম (৩৩) ও একই মাদ্রাসার কারি শ্রেণির ছাত্র মনিরুজ্জামান (২৭)।
এদের মধ্যে শওকতের বাড়ি জেলার ডোমার উপজেলার বোড়াগাড়ি নয়াবাড়ি গ্রামে, আলী মফিজুলের বাড়ি কিশোরগঞ্জ উপজেলার মাগুড়া গ্রামে ও মনিরুজ্জামান উপজেলা ডাউয়াবাড়ি নেকবক্ত গ্রামের জহুরুল হকের ছেলে।
নীলফামারী অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর জামিল আহমেদ জানান, ২০০৭ সালে রংপুরের গঙ্গচড়া উপজেলার পূর্ব কচুয়া গ্রামের আজিম উদ্দিনের ছেলে ওয়ায়েজকুরুনি (১৪) ওই মাদ্রাসার হাফিজিয়া শ্রেণিতে পড়তো। সে মাদ্রাসা সুপারের নির্যাতনের প্রতিবাদ করায় ও এক শিক্ষকের অসামাজিক কার্যকলাপ দেখে ফেলায় তারা তার প্রতি ক্ষিপ্ত হন। এর জের ধরে ওই তিনজন ২০০৭ সালের পহেলা জুলাই রাতে তার চাচাতো ভাইয়ের বাড়ি থেকে তাকে ডেকে নিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেন। পরদিন দুপুরে মাদ্রাসা সংলগ্ন মসজিদের পেছন থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
ওই দিন সন্ধ্যায় নিহত মাদ্রাসা ছাত্রের বাবা বাদী হয়ে ওই তিনজনকে আসামি করে জলঢাকা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় সোমবার আদালত এ রায় দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩২ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৯, ২০১৫
এসআই