ঢাকা, মঙ্গলবার, ২১ মাঘ ১৪৩১, ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৪ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

শেরপুরে জিম্মায় নিয়ে চোর ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৯, ২০১৫
শেরপুরে জিম্মায় নিয়ে চোর ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ

বগুড়া: বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় হাতেনাতে ধরা পড়া চোরকে বিচারের আশ্বাসে জিম্মায় নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।



সোমবার (১৯ অক্টোবর) দুপুরে শেরপুর থানায় শাহীন, আবদুল হামিদ ও নয়ন নামে তিনজনের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করেন রেজাউল করিম নামে এক ভুক্তভোগী।

অভিযোগকারী ও অভিযুক্ত চারজনেই শেরপুরের শাহবন্দেগী ইউনিয়নের হামছায়াপুর গ্রামের বাসিন্দা। এদের মধ্যে শাহীন চুরিতে অভিযুক্ত। আর হামিদ ও নয়ন তার স্বজন। শাহীন হাতেনাতে ধরাপড়ার পর হামিদ ও নয়নই বিচারের আশ্বাসে তাকে জিম্মায় নিয়ে ছেড়ে দেন।

পুলিশ সূত্র জানায়, রোববার (১৮ অক্টোবর) রাতে হামছায়াপুর গ্রামে রেজাউল করিমের বাড়িতে চুরি করতে আসে দুই জন। এসময় শাহীনকে পাকড়াও করে ফেলেন রেজাউল। পরে তার চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে চোরকে আটক করে এবং মারধর করে। এসময় শাহীন নিজেকে হামিদের ভাতিজা পরিচয় দিলে গ্রামের লোকজন মারধর বন্ধ করে। এরপর হামিদকে খবর দেয়। হামিদ তার ছেলে নয়নকে নিয়ে এসে শাহীনকে নিজের জিম্মায় নেন এবং সোমবার সকালে এর সুষ্ঠু বিচার করে দেবেন বলে সবাইকে আশ্বস্ত করেন।

কিন্তু সোমবার সকালে বিচারপ্রার্থী এলাকাবাসী হামিদের বাড়িতে গেলে চোরের খোঁজ দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন তিনি। এ নিয়ে তার সঙ্গে এলাকাবাসীর বাকবিতণ্ডতা হয়। একপর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, গ্রামে এ যাবত যত চুরির ঘটনা ঘটেছে, তার প্রত্যেকটির সঙ্গে শাহীন ও নয়নের যোগসাজশ রয়েছে। গত দেড় মাসেই গ্রামের উপাধ্যক্ষ মাওলানা ইব্রাহিম হোসেন, ব্যবসায়ী আল মাহমুদ, আবু তালহা, ফরিদ প্রফেসর, আব্দুস সালাম, শিক্ষক আব্দুস সাত্তার, শহিদুল ইসলাম বাবু, কৃষক গোলাম রব্বানী, গৃহিণী মালিহা বেগমসহ অনেকের বাড়িতে চুরি হয়। এসব বাড়ি থেকে সংঘবদ্ধ চোর চক্র সোনার গহনা, নগদ টাকা, কম্পিউটার সামগ্রী, বিভিন্ন আসবাবপত্র ও কাপড়চোপড় লুট করে নিয়ে যায়।

এ বিষয়ে শেরপুর থানার উপ-পুলিশ পরির্দশক (এসআই) ফিরোজ কবির বাংলানিউজকে জানান, তদন্ত সাপেক্ষে চুরির ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
 
বাংলাদেশ সময়: ২০১৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৯, ২০১৫
এমবিএইচ/এইচএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।