ঢাকা: বাংলাদেশ এখন আর নিম্ন আয়ের দেশ নয়, নিম্ন মধ্য আয়ের দেশের তালিকায়। তবে নিম্ন শব্দটি চিরতরে নির্মূল করতে সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে সরকার।
মঙ্গলবার (১৯ অক্টোবর) শেরে বাংলা নগরে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদে (এনইসি) এ সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা চূড়ান্ত অনুমোদন পেতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে পরিকল্পনা কমিশন।
এটি প্রণয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের (জিইডি) সদস্য (সিনিয়র সচিব) ড. শামসুল আলম।
এ বিষয়ে ড. শামসুল আলম বাংলানিউজকে বলেন, সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় মোট ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৩২ লাখ কোটি টাকা। এটি মঙ্গলবার এনইসি সভায় চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য তোলা হবে। সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা যাবে। এতে করে আমরা নিম্ন মধ্য আয়ের দেশ থেকে মধ্য আয়ের দেশে উন্নীত হতে পারবো।
সপ্তম-পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় মাথাপিছু দারিদ্র্যের হার ৬.২ শতাংশ কমিয়ে আনা হবে। চরম দারিদ্র্যের হার ২০২০ সালে কমে দাঁড়াবে ৮ দশমিক ৯ শতাংশ। অন্যদিকে ম্যানুফ্যাকচারিং খাতে নতুন শ্রমবাজার সৃষ্টির মাধ্যমে এ খাতে কর্মসংস্থান ১৫ শতাংশ থেকে ২০ শতাংশে উন্নীত করা হবে।
পরিকল্পনায় শিল্প খাতের প্রবৃদ্ধি ২০১৫ সালের ৯.৬ শতাংশ থেকে উন্নীত করে ২০২০ সালে ১১ দশমিক ৯ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। ২০১৫ সালের ৩০ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার রপ্তানিকে ২০২০ সালে ৫৪ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করা হবে।
২০২০ সালের মধ্যে ২৩ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা অর্জন করার পাশাপাশি বিদ্যুতায়নের বিস্তৃতি ৯৬ শতাংশে উন্নীত করা হবে। এ পরিকল্পনার সময়সীমার মধ্যে পদ্মা সেতু নির্মাণ কাজ শেষ করা হবে।
এছাড়া ২৬ কিলোমিটার দীর্ঘ ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণসহ ৮৫৬ কিলোমিটার নতুন রেলপথ নির্মাণ করা হবে।
এ প্রসঙ্গে পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে অতিরিক্ত ১ কোটি ২৯ লাখ লোকের কর্মসংস্থান এবং ৭ দশমিক ৪ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। পরিকল্পনার মূল লক্ষ্য হলো কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও আয় বৈষম্য কমিয়ে আনা।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৯, ২০১৫
এমআইএস/আরএম