সিলেট: সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এস এম কিবরিয়া হত্যা মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য ছিল বুধবার (২৮ অক্টোবর)। দুইজন সাক্ষী যথারীতি আদালতে উপস্থিতও ছিলেন।
সিলেট বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মকবুল আহসান পর্যাপ্ত আসামি হাজির না থাকায় সাক্ষ্যগ্রহণ না করে বৃহস্পতিবার (২৯ অক্টোবর) নতুন তারিখ ধার্য করেন।
সিলেট বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের পিপি কিশোর কুমার কর জানান, বুধবার কিবরিয়া হত্যা মামলায় আবদুর রউফ ও এরফান আলী নামে দুই সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণের কথা ছিল। কিন্তু বেশির ভাগ আসামির অন্য আদালতে হাজিরা থাকায় এই আদালতে উপস্থিত হতে পারেননি। ফলে বিচারক সাক্ষ্যগ্রহণ না করেই আদালত মুলতবি করেন।
এর আগে, সকাল পৌনে ১১টার দিকে ওই মামলার আসামি হবিগঞ্জ পৌরসভার বরখাস্ত মেয়র জিকে গউছ ও চার জঙ্গিকে আদালতে হাজির করা হয়। গত ৩০ সেপ্টেম্বর মামলার বাদি হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) আব্দুল মজিদের সাক্ষ্যগ্রহণের মধ্য দিয়ে বহুল আলোচিত এই মামলার বিচারকার্য শুরু হয়।
পরে ২১ অক্টোবর ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী তিনজনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়। তারা হলেন, আব্দুল মতিন, আব্দুল কাইয়ুম ও ইমান আলী। এ নিয়ে ১৭১ সাক্ষীর মধ্যে চারজন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে।
২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জ সদরের বৈদ্যের বাজারে এক জনসভায় গ্রেনেড হামলায় নিহত হন সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়াসহ অনেকে। ঘটনায় ওই রাতেই হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক আবদুল মজিদ খান হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দু’টি মামলা দায়ের করেন।
আলোচিত এ মামলায় তিন দফা তদন্তের পর তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডির সিলেট অঞ্চলের সহকারী পুলিশ সুপার মেহেরুন নেছা পারুল ২০১৪ সালের ২১ ডিসেম্বর হারিছ চৌধুরী, আরিফ, গউসসহ ১১ জনের নাম যোগ করে মোট ৩২ জনের বিরুদ্ধে সম্পূরক অভিযোগপত্র দেন। যার মধ্যে ১০ আসামি জামিনে, ৮ জন পলাতক এবং ১৩ আসামি কারাগারে। এছাড়া আরিফুল হক চৌধুরী কারা হেফাজতে ঢাকায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০১৫
এএএন/আইএ