ঢাকা: সীসাযুক্ত রঙ শিশু ও বয়স্ক মানুষের স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে। রঙে সীসার মাত্রা ৫০ পিপেএম’র বেশি হলে তা ঘাতকের ভূমিকা পালন করে।
এ কারণে সীসাযুক্ত রঙ ব্যবহারে গড়ে ৭৭ শতাংশ মানুষ স্বাস্থ্যের ক্ষতিজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। তাই রঙে সীসার ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধের দাবি জানানো হয়েছে।
শুক্রবার (৩০ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘বিশ্বব্যাপী রঙে সীসা দূষণ প্রতিরোধ সপ্তাহ’র মানববন্ধনে এ দাবি জানানো হয়।
শিশু-কিশোরদের নিয়ে এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (এসডো) এ মানববন্ধনের আয়োজন করে।
গবেষণা প্রতিবেদন তুলে ধরে এসডো’র সেক্রেটারি জেনারেল ডা. শাহরিয়ার হোসেন বলেন, বাংলাদেশে রঙে উচ্চ মাত্রার সীসা ব্যবহার করা হয়। দেশের ৩১টি ও আমদানি করা ৬টি কোম্পানি রঙ বাজারজাত করছে।
পরীক্ষায় দেখা গেছে, ২৯টি কোম্পানির রঙের ২২টিতে গ্রহণযোগ্য মাত্রার চেয়ে বেশি সীসা রয়েছে। দেশে প্রতিবছর গড়ে ৭৭ হাজার ২শ ২০ মেট্রিক টন শোভাবর্ধনকারী রঙ উৎপাদিত হয়, যেখানে ৯৮ শতাংশ রঙে মাত্রাতিরিক্ত সীসা ব্যবহার করা হয়। এর ফলে ৭৭ শতাংশ শিশু ও বয়স্ক মানুষ নানা জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।
তিনি বলেন, সীসা একটি বিষাক্ত পদার্থ। রঙে ব্যবহৃত সীসার কণা খাবারে মিশে যায়। এ কণা পেটে গিয়ে মস্তিস্ক, মাথা ব্যথা, শিশুদের বৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত, উচ্চ রক্তচাপ, নারীদের গর্ভপাত সমস্যা, হাড় ব্যথা, পঙ্গুত্বসহ অকাল মৃত্যুও হতে পারে। এক কথায়, সীসা একটি নীরব ঘাতক। রঙে সীসার মাত্রা কমানো না গেলে বিপর্যয় নেমে আসতে পারে।
হোসেন বলেন, আন্দোলনের ফলে ২০১৩ সাল থেকে বাংলাদেশে মাঝারি ও বড় রঙ কোম্পানি রঙে সীসার মাত্রা কমিয়ে এনেছে। তবে তা আশানুরূপ নয়।
শিশু স্বাস্থ্য বাঁচিয়ে মেধাবী জাতি পেতে হলে রঙে সীসার মাত্রা ৫০ পিপিএম নামিয়ে আনা ও সীসাযুক্ত রঙ উৎপাদন বন্ধে নীতিমালা করার দাবি জানান তিনি।
মানববন্ধনে এসডো’র গ্রিন ক্লাব’র প্রায় শতাধিক সদস্য (স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী) অংশ নেন। মানববন্ধন শেষে একটি র্যালি শিশু একাডেমির সামনে গিয়ে শেষ হয়। র্যালি থেকে সীসাযুক্ত রঙ ব্যবহারে সচেতনতামূলক তথ্য সম্বলিত লিফলেট ও পোস্টার বিতরণ করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০১৫
আরইউ/এসএস