ফরিদপুর: ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহাদ শেখ (২৮) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন।
শুক্রবার( ৩০ অক্টোবর) সকালে উপজেলার সাতৈর ইউনিয়নের ফলিয়ার বিলে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এঘটনায় আরও তিনজন গুরুতর আহত হয়েছেন। তাদের ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ ও র্যাব মোতায়েন করা হয়েছে।
এলাকাবাসী বাংলানিউজকে জানান, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বোয়ালমারী ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি তারা মোল্লা ও উপজেলা আ’লীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক এলেম মোল্লার সঙ্গে সাতৈর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা খন্দকার নাজিরুল ইসলাম ও উপজেলা আ’লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ শাহিনুর রহমান সজলের বিরোধ চলে আসছিল।
বিষয়টি নিয়ে একাধিক বার এলাকায় শালিস হয়েছে। সর্বশেষ শালিস বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, এ বছর ফলিয়ার বিল পানি ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি তারা মোল্লার নেতৃত্বে বিলের মাছ ধরা হবে। পরবর্তীতে স্ব স্ব এলাকার লোকজন মাছ চাষাবাদ করবে।
এ ঘটনার জের ধরে শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে সাতৈর ও শিবানন্দপুর গ্রামের লোকজন বিল এলাকায় মাছ ধরার উদ্দেশে এলে তাদের প্রতিহত করার চেষ্টা করে বোয়ালমারী ইউনিয়নের চালিনগর, রামনগর, লক্ষিপুরের লোকজন।
এ সময় উভয়পক্ষের সংঘর্ষে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে সাতৈর ইউপি চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা খন্দকার নাজিরুল ইসলাম ও সজল সমর্থিত গ্রুপের সেবানন্দপুর গ্রামের আহাদ শেখ (২৬), দবির খালাসী (৩৫), পাচু মোল্লা (৬০) ও বোয়ালমারী ইউনিয়নের তারা মোল্লা ও এলেম শেখ গ্রুপের দাউদ শেখ (৪৫) গুরুতর আহত হন।
এদের মধ্যে আহাদ শেখকে বোয়ালমারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথে মারা যান। বাকিদের প্রথমে বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ফমেক) পাঠানো হয়।
বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) এ কে এম আমিনুল হক বাংলানিউজকে বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। এলাকায় পুলিশ ও র্যাব মোতায়েন রয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে পাঠানো হয়েছে। এঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০১৫
আরকেবি/পিসি/