ঢাকা, বুধবার, ৮ মাঘ ১৪৩১, ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ২১ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

নওগাঁয় শিক্ষিকাসহ ৪ জনের কারাদণ্ড

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০১৫
নওগাঁয় শিক্ষিকাসহ ৪ জনের কারাদণ্ড

নওগাঁ: প্রাক প্রাথমিক স্তরের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় মোবাইলে ফোনে ক্ষুদে বার্তার (এসএমএস) মাধ্যমে অসুদপায় অবলম্বন ও সহযোগীতা করার দায়ে নওগাঁয় এক শিক্ষিকাসহ তিন পরীক্ষার্থীকে কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

শুক্রবার (৩০ অক্টোবর) পরীক্ষা শেষে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক নওগাঁ জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আনোয়ার সাদাত এ আদেশ দেন।



দণ্ডাদেশ পাওয়ারা হলেন, নওগাঁ সদর উপজেলার তিলকপুর ইউনিয়নের রাইজো গ্রামের রেজাউল ইসলাম (৪৫), একই ইউনিয়নের উলিপুর গ্রামের বায়েজিদ উদ্দিনের মেয়ে সানজিদা খাতুন (২৫), মাহমুদুল হাসান (৩২)ও নওগাঁ সদরে সেন্টাল গার্ল হাইস্কুলের শিক্ষিকা আফরোজা বানু (৪০)। আফরোজা বানুকে ছয় ঘণ্টার কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

নওগাঁ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকিরুল ইসলাম জানান, সকাল ১১টার দিকে শহরের চক এনায়েত উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০৫ নম্বর কক্ষে সানজিদা খাতুন পরীক্ষা দেওয়ার সময় মোবাইল ফোন ব্যবহার করায় কর্তব্যরত ম্যাজিস্ট্রেট তাকে আটক করেন। তার মোবইল ফোনে ১ নম্বর সেটের প্রশ্নের উত্তরপত্রের একটি এসএমএস পাওয়া যায়। পরে নম্বর দেখে এসএমএস কারীকে শনাক্ত করা হয়।

পরে এসএমএস প্রদানকারী রেজাউল করিম ও মাহমুদুলকেও আটক করা হয়। সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ভ্রাম্যমাণ আদালতে আটক হওয়াদের প্রত্যেককে ১৫দিনের করে বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন।

এ ব্যাপারে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আনোয়ার সাদাত বলেন, বর্তমানে পরীক্ষার হলে মোবাইল নিয়ে আসা এবং ব্যবহার করা দণ্ডনীয় অপরাধ। আটক হওয়ারা অপরাধ স্বীকার করায় দণ্ডবিধি ১৮৮ ধারায় তাদের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকিরুল ইসলাম জানান, ভ্রাম্যমাণ আদালতে দণ্ডাদেশপ্রাপ্তদের নওগাঁ জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১১ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০১৫
এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।