বেনাপোল (যশোর): যশোরের বেনাপোল চেকপোস্ট নোম্যান্স ল্যান্ড এলাকা থেকে ১২টি স্বর্ণের বারসহ সাইফুল ইসলাম(৩৫) নামে এক বাংলাদেশি সিঅ্যান্ডএফ কর্মচারী আটক হয়েছে। এ সময় সে শরীরের গোপন অংগে এই স্বর্ণ বহন করছিলো বলে জানা গেছে।
শনিবার(৩১ অক্টোবর) বিকাল সাড়ে ৫ টার দিকে ভারতের পেট্রাপোল বন্দরের কাস্টমস সদস্যরা তাকে আটক করে।
আটক সাইফুল বেনাপোল পোর্ট থানার ধান্যখোলা গ্রামের দুলু মোড়লের ছেলে ও কমার্শিয়াল এজেন্সি নামে একটি সিঅ্যান্ডএফ প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী।
স্থানীয়রা জানান, সাইফুল বিকেলে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্সির পরিচয়পত্র দেখিয়ে ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে যাওয়ার জন্য বেনাপোল চেকপোস্টের নোম্যান্স ল্যান্ডে আসে। এ সময় আগে থেকে গোপন সংবাদ পেয়ে পেট্রাপোল কাস্টমস কর্তৃপক্ষ তাকে ধাওয়া করে ধরে নিয়ে যায়। পরে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী তার শরীরের গোপনাঙ্গ (মলদ্বার) থেকে ১২টি স্বর্ণের বার বের করে।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ কর্মচারী এ্যাসোসিয়েশনের সাংগঠনিক সম্পাদক আলী কদর জানান, তিনিও ভারতীয় কাস্টমসের হাতে স্বর্ণসহ সাইফুলের আটকের কথা অন্যান্য কর্মচারীদের কাছ থেকে শুনেছেন।
সিঅ্যান্ডএফ প্রতিষ্ঠান কমার্শিয়াল এজন্সির স্বত্ত্বাধিকারী মহাম্মদ আলী বাংলানিউজকে বলেন, বিষয়টি তিনি লোক মুখে শুনেছেন। ঘটনার পর থেকে তার মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে এই চোরাচালানের সাথে সিঅ্যান্ডএফ মালিক পক্ষের কারো সম্পৃক্ততা নেই বলে দাবি করেন তিনি।
বিজিবি ২৬ ব্যাটালিয়নের বেনাপোল চেকপোস্ট আইসিপি ক্যাম্পের সুবেদার জালাল উদ্দিন এ ব্যাপারে বাংলানিউজকে বলেন,স্বর্ণসহ আটকের বিষয়টি প্রথমে কেউ স্বীকার করতে চায়নি। পরে ভারতের পেট্রাপোল কাস্টমস কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় সিঅ্যান্ডএফ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে জানতে পারেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ০৪২২ ঘন্টা,নভেম্বর ০১,২০১৫
আরআই