ঢাকা, বুধবার, ৮ মাঘ ১৪৩১, ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ২১ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

যুব দিবসের অঙ্গীকার

লক্ষ্য বেকারত্ব ৪০ থেকে ১৫ শতাংশে হ্রাস

সুকুমার সরকার, সিনিয়র স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬০৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ১, ২০১৫
লক্ষ্য বেকারত্ব ৪০ থেকে ১৫ শতাংশে হ্রাস যুব ও ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়

ঢাকা: সরকার দেশের বেকার যুব সমাজের হার কমিয়ে আনার ব্যাপারে উচ্চভিলাষী পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে।

এ লক্ষ্যে সরকার তাঁদের ১৭৫টি বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন।

এ প্রশিক্ষণ গ্রহণের পর তাঁরা কোন প্রতিষ্ঠানে চাকরি নেবেন। কেউ চাকরি করতে না চাইলে আত্মকর্মসংস্থান বেছে নিতে পারেন। এ জন্য সরকার তাঁদের নামমাত্র সুদে ঋণ দেবে।

যুব ও ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয় বাংলানিউজকে এ কথা জানিয়ে বলেন, রোববার (০১ নভেম্বর) জাতীয় যুব দিবস।

তিনি বলেন, এদিন সকাল ১০টায় রাজধানীর ওসমানী মিলনায়তনে জাতীয় যুব দিবসের উদ্বোধনীসহ দিনভর নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

প্রশিক্ষিত যুবক-নারীদের মধ্য থেকে আত্মকর্মসংস্থান প্রকল্প স্থাপনে দৃষ্টান্তমূলক অবদান রাখার স্বীকৃতি হিসেবে রোববার ১২ জন সফল আত্মকর্মী ও তিনজন সফল যুব সংগঠকসহ মোট ১৫ জনকে এ বছর ‘যুব পুরস্কার দেওয়া হবে। ’ কেননা দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নের মূল চালিকাশক্তি হলো যুবসমাজ।

ঢাকার অদূরে সাভারে ‘শেখ হাসিনা জাতীয় যুব কেন্দ্রটি’কে একটি মানবসম্পদ উন্নয়ন,তথ্য ও গবেষণা কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে। সেখানে যুবসমাজের সামাজিক, অর্থনেতিক ও মানবিক গুণাবলীর বিকাশ সাধনে আবাসিক প্রশিক্ষণ, ডিপ্লোমা কোর্স, যুব সমাবেশ-সেমিনার-কর্মশিবির-গবেষণা ও প্রকাশনার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

দেশে প্রায় ৫ কোটি যুবক আছেন। যুবকদের কর্মসংস্থানের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপহার দিয়েছেন জাতীয় অর্থনৈতিক মুক্তির সনদ রূপকল্প-২০২১। রূপকল্পের মাধ্যমে বেকারত্বের হার ৪০ শতাংশ থেকে ১৫ শতাংশে নামিয়ে আনার অঙ্গীকার করা হয়েছে।

যুবসমাজের সৃজনশীলতা, আত্মপ্রত্যয় ও তাদের কর্মদক্ষতাই জাতির অর্থনেতিক উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করতে পারে। এ লক্ষ্য নিয়ে এ বছর জাতীয় যুবদিবসের মূল প্রতিপাদ্য-‘জেগেছে যুব, জেগেছে দেশ-লক্ষ্য ২০৪১-এ উন্নত বাংলাদেশ’।  
 
শুধু দেশের শ্রমবাজার নয়-বিদেশের শ্রমবাজারের দিকে লক্ষ্য রেখে কর্মসংস্থান সুযোগ সৃষ্টিতে প্রাতিষ্ঠানিক ট্রেডসমূহ আপগ্রেড করে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার কাজ চলছে।

বর্তমান সরকারের সময় ১৪ লাখ ২০ হাজারসহ যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক ৭৪টি ট্রেডে সোয়া ৪৫ লাখ যুবককে প্রশিক্ষণ দিয়েছে। এর মধ্যে ২০ লাখের বেশি আত্মকর্মী হয়েছেন।

দেশে-বিদেশে শ্রম বাজারের সঙ্গে তাল মিলিয়ে হাউজকিপিং, ফুড অ্যান্ড বেভারেজ ও মাংস প্রক্রিয়াজাত প্রশিক্ষণ কোর্স শুরু হয়েছে। বিএমইটি এবং এস.এ ট্রেডিং-এর সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে বহিঃগামী নারী গৃহকর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।

উপমন্ত্রী বলেন, অনগ্রসর যুবক ও নারীদের গার্মেন্ট শিল্পে কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য যুব প্রশিক্ষণ কোর্সের মাধ্যমে ওভেন সুইং মেশিন অপারেটিং প্রশিক্ষণ চালু করা হয়েছে। এ কর্মসূচি মাগুরা, ঝালকাঠি, শেরপুর ও মুন্সিগঞ্জ জেলায় সম্প্রসারণ করা হয়েছে।  

বর্তমান সরকারের আমলে সোয়া ২৪ লাখ প্রশিক্ষিত যুবককে ৫২২ কোটি ৮৮ লাখ টাকা ঋণ দিয়েছে। ঋণ আদায় হার ৯৪ শতাংশ। ঋণের চাহিদার কথা বিবেচনা করে বর্তমান সরকার অপ্রাতিষ্ঠানিক ট্রেডে ৩০ হাজার থেকে বাড়িয়ে ৫০ হাজার এবং প্রাতিষ্ঠানিক ট্রেডে ৫০ হাজার থেকে বাড়িয়ে এক লাখ টাকা করেছেন।

হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ দিতে দেশের ১১ জেলায় আবাসিক যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র বাস্তবায়নের কাজ চলছে। এর মধ্যে নয়টির কাজ সমাপ্তির পথে।

যুব কল্যাণ তহবিল থেকে ১০হাজার ১৭০টি যুব সংগঠনকে ১৩ কোটি ৬০ লাখ টাকা অনুদান দিয়েছে। বর্তমান সরকারের সময়ে চার হাজার ৬শ’ সংগঠনকে অনুদান দেযার পরিমাণ ৮ কোটি ৫২ লাখ টাকা।

বাংলাদেশ সময়: ০৬০৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ০১, ২০১৫
এসএস/আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।