রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ): নারায়ণগঞ্জে রূপগঞ্জে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লোকমান হোসেনের হস্তক্ষেপে সুমাইয়া আক্তারের (১২) বাল্য বিয়ে বন্ধ হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (০৫ নভেম্বর) দুপুরে ইউএনও’র নির্দেশ মতে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন এ বাল্য বিয়ে বন্ধ করে দেন।
সুমাইয়া আক্তার উপজেলার মাহনা বড়বাড়ি এলাকার ফুল মিয়ার মেয়ে। তিনি স্থানীয় মাহনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর শিক্ষার্থী।
ভুলতা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ও উপ পরিদর্শক (এসআই) রবিউল ইসলাম জানান, কাঞ্চন পৌরসভার কালাদি এলাকার কাজল মিয়ার ছেলে কাউসার মিয়ার (২৫) সঙ্গে সুমাইয়া আক্তারের বিয়ে ঠিক করে তার পরিবারের লোকজন। এতে স্থানীয় এলাকাবাসী বাধা দিলেও বিয়ের দিন-তারিখ ধার্য করা হয়।
শুক্রবার (০৬ নভেম্বর ) বিয়ে হওয়ার কথা। ইতিমধ্যে বিয়ের প্যান্ডেল, গেটসহ গায়ে হলুদের আয়োজন করা হয়েছে। মেহমানদের আপ্যায়নের জন্য মুদি-মনোহরী মালপত্রও কেনা হয়।
বাল্য বিয়ের বিষয়টি খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লোকমান হোসেন পুলিশকে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন।
পরে ইউএনও’র নির্দেশ মতে বিয়ে বাড়িতে গিয়ে বাল্য বিয়ের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। এতে ওই স্কুল শিক্ষার্থীর পরিবারের সঙ্গে কথা বলে বাল্য বিয়েটি বন্ধ করে দেওয়া হয়।
পূর্ণ বয়স না হওয়া পর্যন্ত বাল্য বিয়ে দেওয়া হলে উভয় পরিবারের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান এসআই।
এদিকে, মাহনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মজিদ বলেন, বাল্য বিয়ে বন্ধ করতে সমাজের সবার এগিয়ে আসা জরুরি। শিক্ষার্থী সুমাইয়া আক্তার এখন পড়াশোনা করার সুযোগ পাবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫২ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৫,২০১৫
এসএইচ