ঢাকা, শনিবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বর্ণিল সাজে প্রস্তুত স্মৃতিসৌধ

বাংলানিউজটিম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩১৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৬, ২০১৫
বর্ণিল সাজে প্রস্তুত  স্মৃতিসৌধ ছবি: দীপু মালাকার/ বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

সাভার স্মৃতিসৌধ থেকে: ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস। অন্যদিনের তুলনায় ভিন্নরূপে সাভারের স্মৃতিসৌধ।

একদিকে নিরাপত্তা বেষ্টনি, অন্যদিকে লাল, নীল, সবুজ ও হলুদ বাতির বর্ণিল সাজ।
 
৪৫তম বিজয় দিবসে দেশের বীর সন্তান শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতেই জাতীয় স্মৃতিসৌধের এ সাজ। এখানে নামবে লাখো জনতার ঢল। এর আগে, শহীদ বেদিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে দেশের সূর্য সন্তানদের শ্রদ্ধা জানাতে ছুটে আসবেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
 
মঙ্গলবার (১৫ ডিসেম্বর) দিনগত রাতে সাভার স্মৃতিসৌধে গিয়ে দেখা যায়, চারদিকে বিজয়ের সাজ। স্মৃতিসৌধসহ আশপাশের এলাকায় সাজানো হয়েছে বর্ণিল আলোকসজ্জা। বাদ যায়নি স্মৃতিসৌধের পাশের খাবার ও ফুলের দোকানগুলোও। মধ্যরাতেও সেখানে চলছে কর্মব্যস্ততা। অনেকে প্রথম প্রহরে শহীদ বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে ছুটে এসেছেন মধ্য রাতেই।
 
নানা সংগঠনের পক্ষ থেকে স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানানোর জন্য তৈরি হচ্ছে ফুলের তোরণ। সাভার ও আশপাশের সড়কের পাশে প্রধানমন্ত্রীকে বিজয়ের শুভেচ্ছা জানানোর জন্য টানানো হয়েছে অসংখ্য ব্যানার ও ফেস্টুন।
 
সাভার স্মৃতিসৌধের নিরাপত্তায় নিয়োজিত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা কাটাচ্ছেন নির্ঘুম রাত। এখানে দায়িত্বরত এক কর্মকর্তা বাংলানিউজকে জানান, বীর সন্তানদের শ্রদ্ধা জানাতে স্মৃতিসৌধ পুরোপুরি প্রস্তুত। সব ধরনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে।
 
তিনি বলেন, সকাল ৬টার পর যেকোনো সময় শ্রদ্ধা জানাতে আসবেন রাষ্ট্রপতি। এরপর প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সাভার স্মৃতিসৌধ সর্বসাধারনের জন্য উন্মুক্ত করা হয়।
 
আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ওই সদস্য জানান, স্মৃতিসৌধ ঘিরে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
 
স্মৃতিসৌধের ঠিক বিপরীত পাশেই গড়ে উঠেছে কয়েকটি ফুলের দোকান। সেখানে নানা রঙের ফুলে তোরণ তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কর্মীরা। প্রতিটি তোরণ ৮শ টাকা থেকে ১২শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া একটি গোলাপ বিক্রি করা হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ টাকা।  
 
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে নয় মাস সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের পর ১৯৭১ সালের এই দিনে রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) হানাদার পাকিস্তানি বাহিনী যৌথবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করে।
 
পাকবাহিনী দীর্ঘ নয় মাসে ত্রিশ লাখ বাঙালিকে হত্যাও  দু’লাখ মা-বোনের সম্ভ্রম কেড়ে নেয়। বীর সেনাদের কাছে অপমানের গ্লানি নিয়ে বিদায় নেয় পাক বাহিনী। সেই লড়াকু সৈনিকদের শ্রদ্ধা জানাতেই জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করার লক্ষ্যে প্রস্তুত সবাই।
 
বাংলাদেশ সময়: ০৩১৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৬, ২০১৫
এমআইএস/এএসএস/এসএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।