ঢাকা: আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনের আচরণ বিধি লঙ্ঘনের দায়ে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহিউদ্দীন খান আলমগীরসহ ১০ সংসদ সদস্যের (এমপি) বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে জানাতে বলেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) রাতে পৌর নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তাদের এ নির্দেশনা দেয় নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
পত্রিকায় প্রকাশিত বিধি লঙ্ঘনের খবরের ভিত্তিতে মনিটরিং কমিটির দেওয়া প্রতিবেদন অনুসারে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে এমন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এর আগে, এ কমিটির প্রতিবেদন অনুসারে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু ও ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমানের বিষয়েও একই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিলো।
নির্দেশনাটি মঙ্গলবার রাতেই পাঠানো হয়েছে বলে বাংলানিউজকে জানিয়েছেন মনিটরিং কমিটি প্রধান ও ইসির উপ-সচিব মো. রকিব উদ্দীন মণ্ডল।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরের বিষয়ে আচরণ বিধি লঙ্ঘনের সঙ্গে সম্পৃক্তদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হলো, তা জানতে চেয়েছে ইসি। নির্দেশনার সঙ্গে পত্রিকায় প্রকাশিত খবরের কাটিংও জুড়ে দেওয়া হয়েছে।
রকিব উদ্দীন মণ্ডল বলেন, নির্বাচনী আচরণ বিধি ভঙ্গের খবরগুলো ফাইল করে ইসির কাছে উপস্থাপন করা হয়েছিলো। ইসি সেসব অভিযোগ খতিয়ে দেখে সত্যতা পেলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে জানানোর নির্দেশনা দিয়েছে।
যে অভিযোগ আসছে বা পাওয়া যাচ্ছে তা খতিয়ে দেখে সত্যতা পাওয়া সাপেক্ষেই কেবল শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেবেন রিটার্নিং কর্মকর্তা, জানান রকিব উদ্দীন মণ্ডল।
তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নিয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের জানাতে বলেছে ইসি। তাদের মধ্যে রয়েছেন- সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দিন খান আলমগীর, শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জে এমপি নাহিম রাজ্জাক, কিশোরগঞ্জের কটিয়াদি ও বাজিতপুরে অ্যাডভোকেট সোহরাবউদ্দিন আহমেদ ও আফজাল হোসেন, হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে অ্যাডভোকেট আবু জাহির, সিরাজগঞ্জের হাসিবুর রহমান স্বপন, নাটোরের গুরুদাসপুরে অধ্যাপক আবদুল কুদ্দুস, ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে মো. আবদুর রহমান, রাজশাহীর পবায় আব্বাস আলী ও নড়াইলের এমপি কবিরুল হক।
এদিকে, এমপি ছাড়াও বেশ কিছু প্রার্থীর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের সত্যতাও খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নিয়ে জানাতে বলেছে ইসি।
অন্যদিকে, প্রতিদিন বিভিন্ন প্রার্থী বা সংক্ষুদ্ধ ব্যক্তির বিরুদ্ধেও যেসব অভিযোগ আসছে, তাও খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিবেদন জানাতে বলা হয়েছে নির্দেশনায়। আবার আচরণ বিধি ভঙ্গের দায়ে ম্যাজিস্ট্রেটরা কী ব্যবস্থা নিচ্ছেন তা তাও প্রতিদিন নির্দিষ্ট ছকে জানানোর জন্য বলেছে নির্বাচন কমিশন।
একইসঙ্গে ম্যাজিস্ট্রেটদের আগের দিনের নেওয়া ব্যবস্থার প্রতিবেদন প্রতিদিন সকাল সাড়ে ৯টার মধ্যে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছেও পাঠাতে বলা হয়েছে।
আগামী ৩০ ডিসেম্বর দেশের ২শ ৩৪ পৌরসভায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। মেয়র পদে দলীয় ও কাউন্সিলর পদে নির্দলীয়ভাবে ভোটগ্রহণ করবে নির্বাচন কমিশন।
এ নির্বাচনে মেয়র পদে ৯শ ২৩ ও কাউন্সিলর পদে ১১ হাজার ১শ ২২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এতে প্রায় ৭২ লাখ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাচ্ছেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৭০১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৬, ২০১৫
ইইউডি/এসএস